বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। মমতা সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এদিন বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর মামলার শুনানি ছিল। তাতে জাস্টিস রাওয়ের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য ও রাজ্যপাল আদালতে লড়ছে এটা কারোর জন্যই ভালো নয়।
দু’সপ্তাহের ‘ডেডলাইন’ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
গত বছর লোকসভা ভোটের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে বরাহনগর এবং ভগবানগোলায় জয়ী হয়েছিলেন যথাক্রমে তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন। যদিও তাঁদের শপথগ্রহণ ঘিরে জটিলতা দেখা যায়। পরবর্তীতে সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আদালত দু’পক্ষকে বসে মিটিয়ে নিতে বলছে, সেটা আজকের নির্দেশে উল্লেখ করা হোক। আমাদের আপত্তি নেই’। মমতার আরেক আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা চায়ে পে চর্চায় অসুবিধা নেই’।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ব্যর্থতাই ‘এর’ জন্য দায়ী! এবার বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট! কোন মামলায়?
একথা শুনে বিচারপতি রাও (Justice Krishna Rao) বলেন, ‘আজ মৌখিক বলেছি। পরে নির্দেশ দেওয়া যাবে’। এদিকে এই মামলায় হলফনামা দাখিল করতে চেয়ে সময় চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী। বিরোধী পক্ষের উকিল বলেন, ‘এটাই শেষ সময় দেওয়া হোক’।
তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাও স্পষ্ট বলেন, ‘দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হল। আগামী ৯ এপ্রিল শুনানি। এটা মিটিয়ে ফেলা হোক’। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ আদালতে বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আরও সহনশীল হতে হবে’। সেকথা শুনে রাজ্যপালের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘আমার মক্কেল একদম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন’।
যার প্রেক্ষিতে কল্যাণ আবার বলেন, ‘আপনি রাজনৈতিক ব্যক্তি বলেই এই অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছেন’। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি সময় চাইছেন। এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনি কি সিরিয়াস? রাজ্যপালের মামলা করার কী দরকার?’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ বলেন, ‘এমনিই রাজ্যপাল রক্ষাকবচ পান। এই ধরণের রাজ্যপালের কথা ভাবতে পারলে সংবিধান রচয়িতারা এমন আইন বানাতেন না’।