বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এর মাঝে ফের একবার শিরোনামে উঠে এল এই হাসপাতাল। এবার অভিযোগ, চিকিৎসা না পেয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা হাসপাতালে পড়ে রইল রোগী। অভিযোগ উঠেছে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদী জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যদের দিকে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (WBJDF) সদস্যরা জোর করে সাদা কাগজে মুচলেকা লিখিয়েছে।
ফের শিরোনামে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Hospital)!
জানা যাচ্ছে, বাড়িতে অশান্তির কারণে বিষ খেয়েছিলেন বছর চল্লিশের সুজিত ঘোষ। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ সুজিতকে হাড়োয়া থানা থেকে আরজি করে নিয়ে আসেন তাঁর দিদি গীতা ঘোষ। তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়ে আসা হয়। কার্ডও তৈরি করে নেওয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ, তা সত্ত্বেও প্রায় ৩ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন সুজিত। অভিযোগ উঠেছে, ডিউটি চলাকালীন মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রথম বর্ষের পিজিটি চিকিৎসক সিতীশ।
গত বছর আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রতিবাদে নেমেছিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। ডাক দেওয়া হয়েছিল কর্মবিরতির। সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন চিকিৎসক সিতীশও। গত বছর জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সময় চিকিৎসা পাননি বহু সাধারণ মানুষ। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আমজনতাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেছিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তবে সেকথা যেন তাদের নিজেদের ওপরই খাটল না!
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ নিয়ে কড়াকড়ি রাজ্যের! এবার নয়া ফরমান নবান্নের! জারি বিজ্ঞপ্তি
গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে গীতা ঘোষ বলেন, ‘চিকিৎসা না পেয়ে টানা ৩ ঘণ্টা বেডে ছটফট করছিল আমার ভাই। শেষ অবধি ৭:৩০ নাগাদ চিকিৎসা শুরু হয়’। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই ফ্রন্টের সদস্যরা তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (West Bengal Junior Doctors Front) সদস্য চিকিৎসক রুবেল, চিকিৎসক সিতীশ মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিকের ঘরে হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়! রোগীর পরিবারের তরফ থেকে সাদা কাগজে মুচলেকা লেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে (RG Kar Hospital)। সেখানে লেখা ছিল, চিকিৎসকরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করেছেন। এই বিষয়ে সুজিতের দিদি গীতা বলেন, ‘আমি লেখাপড়া জানি না। আমায় কয়েক জন বলেন, আমরা বয়ান লিখে দিচ্ছি, আপনি তাতে টিপ ছাপ দিয়ে দেবেন’।