‘হ্যাঁ, আমি হুঁশিয়ারি দিয়েছি!’, এবার পাল্টা আসরে বিকাশরঞ্জন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। ক্যাম্পাস চত্বরে গিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরে যাদবপুর প্রসঙ্গে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা একের পর  মন্তব্য পাল্টা মন্তব্য করে চলেছেন। কেউ কেউ দিচ্ছেন প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি। এরইমধ্যে যাদবপুরকাণ্ডে ৭০ দশকের প্রেসিডেন্সি দাওয়াইয়ের দাবি তুলে ধরেছেন দমদম তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এখনও পর্যন্ত তিনি নিজের মন্তব্যেই অনড় রয়েছেন। তবে এবার তাঁকে জবাব দিলেন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। তাঁর মতে,’রাজ্য সরকারের টাকা মানে তৃণমূলের টাকা নয়।’

সৌগতকে পাল্টা আক্রমণ বিকাশরঞ্জনের (Bikash Ranjan Bhattacharya)

যাদবপুর প্রসঙ্গে সৌগত রায়ের সাফ কথা, ‘হ্যাঁ আমি হুঁশিয়ারি দিয়েছি দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুরে যা চলছে বামপন্থী বিরোধী কেউ বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকলে তাকে হেনস্থা করা হবে বাবুল সুপ্রিয় কে দিয়ে শুরু হয়েছিল ব্রাত্যকে দিয়ে সেটা এগিয়ে গেল। এটা ভাঙা দরকার’। একইসাথে তিনি বললেন, ‘সত্তর দশকে  যেভাবে প্রেসিডেন্সি কলেজ পরিষ্কার করা হয়েছিল, প্রশাসন করেছে। আবার অনেক জায়গায় আমরা, আমাদের ছাত্র সংগঠন করেছি। সেটা আরেকটা বিষয়।’

তৃণমূলের প্রবীণ নেতার এই মন্তব্য শুনে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) পাল্টা বললেন, ‘সৌগতবাবুরা যে আরএসএসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে, এটা স্পষ্ট। যত মানুষের আন্দোলন বাড়বে, তত ওদের মুখোশ খুলে পড়বে। যাদবপুর মেধা চর্চার কেন্দ্র। ওরা যদি এই ধরণের কাজ করার চেষ্টা করেন, তাহলে নিজেদের কবর খুঁড়বেন’। একইসাথে পাল্টা  হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার কার পয়সায় খরচা দেয়, জনগণের টাকায়। রাজ্য সরকারের টাকা মানে তৃণমূলের টাকা নয়। কথাবার্তা শুনলে আমাদের উপহাস আসবে’।

Bikash Ranjan Bhattacharya

প্রসঙ্গত সম্প্রতি যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাস চত্ত্বরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরেই যাদবপুরে ‘সত্তর দশকে প্রেসিডেন্সি’ দাওয়াইয়ের দাবি তুলেছেন সৌগত রায়। তাঁর দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ রাজ্য সরকার দেয়। তাই  প্রশাসনিকভাবে যাদবপুরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর