বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এর মধ্যে বহু রায় সংবাদের শিরনামের উঠে এসেছে। এবার যেমন ফের একটি মামলায় উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় দিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘আড়াই লক্ষের চেয়ে আড়াইশোর স্বার্থ বড় নয়’, স্পষ্ট জানিয়েছে হাইকোর্ট।
কোন মামলায় এই রায় দিল উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)?
বিগত প্রায় ৮ বছর ধরে ‘ভাবাদিঘি বাঁচাও’ জমি আন্দোলনের জেরে থমকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের (Indian Railway) কাজ। বহু আগেই নানান স্তরে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এখনও সেই তরজা অব্যাহত। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরাও নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, কমিটি আগে যা বলেছে, এখনও সেটাই বলছে। রেল হোক, তবে দিঘি বাঁচিয়ে।
সম্প্রতি তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প নিয়েই বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ‘আড়াই লক্ষের চেয়ে আড়াইশোর স্বার্থ বড় নয়’, স্পষ্ট জানিয়েছে উচ্চ আদালত। গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (Justice TS Sivagnanam) ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ‘এখন তো বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়েও রেল চলে! যেখানে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে, সেই অঞ্চলে ছয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ চালু করতে হবে রেলকে’।
আরও পড়ুনঃ TMC-র অন্দরে বাইশ গজের লড়াই? রোহিতকে ‘মোটা’ বলেছিলেন! এবার সৌগতকে নিশানা কুণালের?
অন্যদিকে যে অঞ্চলে অধিগ্রহণের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি, সেখানে তিন মাসের মধ্যে আইন মেনে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে কোথাও একটা আশার আলো দেখছেন বহু মানুষ। দিঘি বাঁচিয়েও এই রেল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হতে পারে, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
ভাবাদিঘির আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কে স্বাগত জানানো হলেও তাঁরা নিজেদের দাবিতে এখনও অনড়। তবে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের পর তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল লাইন নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বহু মানুষ আশার আলো দেখছেন। এই রেল লাইন সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে গেলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে আরও কম সময়ে হাওড়া যাতায়াত করা যাবে। হাওড়া থেকে তারকেশ্বর হয়ে আরামবাগ দিয়ে বিষ্ণুপুর যাওয়া যাবে। এর ফলে একদিকে যেমন এই এলাকার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির বড় বদল হবে, তেমনই প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।