বাংলাহান্ট ডেস্ক : গোটা বিশ্বের সাথে ভারতেও (India) পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health organization) মতে, এই মুহূর্তে প্রায় ৭ হাজার প্রকারের বিরল অসুখ রয়েছে পৃথিবীতে। এরমধ্যে ভারতেই ২০২১ সাল পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে ৪৫০ ধরনের বিরল রোগ (Rare Disease)।
বিরল রোগের সংখ্যা বাড়ছে ভারতে (India)
সম্প্রতি এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইমিউনোলজি অ্যান্ড রিউম্যাটোলজি সংস্থা বিরল রোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলকাতায়। ডাঃ পার্থজিত্ দাস, ডাঃ অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায়, রিউম্যাটোলজিস্ট ডাঃ প্রদ্যোত্ সিংহ মহাপাত্র, ডাঃ সৌরভ প্রধান সহ প্রমুখ প্রখ্যাত চিকিৎসকেরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিরল রোগ সম্পর্কে দিলেন একাধিক তথ্য।
আরও পড়ুন : বাংলায় ছেয়ে যাচ্ছে অবৈধ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিম! সংসদে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
চিকিৎসকদের মতে, জিন ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে শিশুদের মধ্যে। অন্যদিকে, বিরল অটোইমিউন ডিজিজ মূলত ধরা পড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে। তবে বিরল রোগ নিয়ে সামাজিক সচেতনতার যে অভাব আছে তা নিয়ে একমত অধিকাংশ চিকিৎসকই। অপরদিকে, শহর কলকাতায় বিরল রোগ অনুসন্ধানে বিশেষ উদ্যোগ শুরু করল কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন : গরমের ছুটিতে রয়েছে বেড়ানোর পরিকল্পনা? একাধিক ট্রেন বাতিল রেলের, দুর্ভোগে পড়ার আগে নিন জেনে
‘কল্যাণ নিরুপনম যোজনা’ নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরল রোগে আক্রান্তের হদিস পেতে চাইছে পুরসভা। এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে অভিজ্ঞ আশা কর্মীদের। বর্ধমান জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে বর্তমানে।
তবে এই বিষয়ে সরকারের আরও উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়া দরকার বলে মত দিয়েছে সুবর্ণ গোস্বামী। চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলেন যে, আগে বিরল রোগ শনাক্তকরণ খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে ছোটবেলাতেই রোগ শনাক্ত (Disease Diagnosis) করা সম্ভব হচ্ছে।
তবে এই বিষয়ে যে আরও জনসচেতনতা প্রয়োজন সেই কথাও উল্লেখ করেন চিকিৎসক। চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদারের কথায়, আরও বেশি পরিমাণ জেনেটিক টেস্টিং দরজার। দ্রুত রোগ শনাক্ত করা গেলে, অনেক আগে থেকে চিকিৎসা শুরু করা যায়। যার ফলে আক্রান্ত শিশুর ভবিষ্যতের চলার পথ হবে আরও মসৃণ।