বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতীয় স্তরে আবার উজ্জ্বল হল বাংলার মুখ! খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অত্যন্ত আনন্দের সাথে আজ জানলেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের অতি ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদন শিল্পে গোটা দেশের মধ্যে আরও একবার শীর্ষস্থান দখল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট দেখিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে আজ এই দাবি করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিরাট সুখবর দিলেন মমতা (Mamata Banerjee)
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ‘ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস’ একটি সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন,দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার উপর করা সেই বার্ষিক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে ছোট-মাঝারি উৎপাদন শিল্পের উৎপাদনে একেবারে শীর্ষে রয়েছে বাংলা।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫ টাকায় ভরপেট খাবার! ‘মা ক্যান্টিনে’ রাজ্যের খরচ কত? জানলে ভিরমি খাবেন
মমতা (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ছোট-মাঝারি উৎপাদন শিল্পে গোটা দেশের নিরিখে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে বাংলার। জানা যাচ্ছে, মোট উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে ১৬.০২ শতাংশ আসে বাংলা থেকে। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। উৎপাদন শিল্প ছাড়াও,‘অন্যান্য পরিষেবা’তেও এগিয়ে (১৩.০৯ শতাংশ) রয়েছে বাংলা। এছাড়াও উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থায় শ্রমিকদের অংশগ্রহণেও বাংলা এখনও পর্যন্ত শীর্ষস্থানে রয়েছে। জানা যাচ্ছে,রাজ্যে শ্রমিকদের অংশগ্রহণের হার ১৩.৮১ শতাংশ, যা সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
সরাসরি কেন্দ্রীয় রিপোর্ট উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এদিন জানিয়েছেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ছোট-মাঝারি শিল্পে মহিলা চালিত সংস্থার সংখ্যাও বাংলায় সবচেয়ে বেশি (৩৬.৪ শতাংশ)। শুধু তা-ই নয়, জানা যাচ্ছে এ রাজ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের অংশগ্রহণও (১২.৭৩ শতাংশ) সবচেয়ে বেশি।
https://twitter.com/MamataOfficial/status/1898992789418897796
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া বার্ষিক সমীক্ষার ওই রিপোর্ট অনুযায়ী উৎপাদন শিল্পে কর্মসংস্থানে বাংলা শীর্ষে। দেশের মধ্যে উৎপাদন এবং অন্যান্য কাজেও বাংলার কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কাজ করেন। এছাড়া শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রেও বাংলায় এগিয়ে নারীরা। বহু অসংগঠিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প তৈরি হয়েছে মহিলাদের নেতৃত্বে। এক্ষেত্রেও রেকর্ড করেছেন মহিলা কর্মীরা।