বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে কার্যত বন্ধের মুখে রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি স্কুল। বিশেষ করে এই ছবিটা অনেক বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে গ্রামের সরকারি স্কুল গুলির ক্ষেত্রে। জানা যাচ্ছে বর্তমানে রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকের শূন্য আসন হয়েছে মোট ৫ হাজার ৬৩৫ টি রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই গ্রামে। জানা যাচ্ছে, এমন অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষকের অভাবে পঠনপাঠন প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। মঙ্গলবার এই বিষয়টি বিধানসভার আলোচনা পর্বে উঠে আসে। তারপরেই এপ্রসঙ্গে বিরাট মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
রাজ্যের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বিরাট বার্তা ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)
প্রশ্নের মুখে পড়ে এদিন জবাবও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। মুশিকল আসানে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) যা বললেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘আমি মনে করি শিক্ষকদের চাকরি জীবনের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করা উচিত!’
মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারই উত্তরে এদিন একথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu)। একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ছাত্র শিক্ষকের আনুপাত কত তা দেখার কাজও শুরু করছে শিক্ষা দফতর। তার জন্য কোন স্কুলে কতজন ছাত্র রয়েছেন, আর সেই অনুপাতে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ‘ফি’ নিয়ে বেসরকারি স্কুলের বাড়বাড়ন্ত? এবার পড়বে লাগাম, বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
কোথাও অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলে তাঁকে অন্যত্র বদলি করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিক্ষকরা বদলি হয়ে অন্যত্র যেতে চান না। তাই এদিন এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনেকে মনে করছেন আজ ব্রাত্য বসুর কথা থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে, আগামী দিনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ২০২৩ সালে ৯৫০০ শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এখনও প্রায় ৫হাজার ৬৩৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আইনি জটিলতার কারণেই এখনও তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে দ্রুত এই নিয়োগ সম্পন্ন হবে।