বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি! আগেই একাধিকবার একথা স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তছরুপ বা অনৈতিক কোনও কাণ্ডে নাম জড়ালে, দলের নেতা থেকে শুরু করে আমলা, কেউ ছাড় পাবেন না বলে জানিয়েছিলেন মমতা। এবার দলনেত্রীর বার্তা মতোই পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মঙ্গলবার ফোন করে মলয় রায়কে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ফিরহাদের (Firhad Hakim) ফোনের পর কী বললেন মলয়?
বিগত কয়েকদিন ধরেই অমরাবতী ইস্যু নিয়ে সরগরম পানিহাটি পুরসভা। তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। পানিহাটি পুরসভার অধীন অমরাবতী মাঠ কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। প্রায় ৮৫ বিঘার এই মাঠ সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ইন ইন্ডিয়া নামক একটি সংস্থার নামে রয়েছে। সম্প্রতি এই মাঠের জমি বিক্রি করে দেওয়ার জল্পনা ছড়ায়। তাতে নাম জড়ায় স্থানীয় পুরপ্রধানের।
এই ইস্যুতে আগেই পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে মলয়কে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সেই নির্দেশ মানেননি তিনি। পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, আমি এমন কী করেছি যে পদত্যাগ করতে হবে? সম্পূর্ণ বিষয় না জেনে পদ ছাড়ার প্রশ্নই উঠছে না। এবার সরাসরি তাঁকে ফোন করে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় খবর! অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব টাকা! শোরগোল রাজ্যে
এই নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মলয়। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ আমায় ফোন করে পদত্যাগের কথা বলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আমি পদত্যাগ করব, তবে জানতে চেয়েছি, আমার অপরাধ কী?’
অমরাবতী ইস্যু ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান অবধি পৌঁছেছে। মলয় বলেন, উনি বলেছেন ইস্তফা দিতে। আমি দলের শ্রমিক, যা বলবেন সেটাই করব। মলয়ের কথায়, ‘অমরাবতী মাঠ ট্রাস্টি বোর্ডের মাঠ, সেটা বিক্রি করা যায় না। কিছু অজ্ঞাত মানুষ মনে করল, সেটা বিক্রি করা হচ্ছে’।
মলয় বলেন, ‘এখানে একটা স্টেডিয়াম, কমিউনিটি হলের দাবি করেছিলাম ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে। কেউ কেউ ভাবল, আমরা সব খেয়ে ফেলছি। আমি তার বলি হলাম’। এদিন ফিরহাদ (Firhad Hakim) ফোন করে মলয়কে পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন মলয়। তবে কবে বা কখন পদত্যাগ করবেন সেটা এখনও ঠিক করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।