বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর কাণ্ডে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। প্রতিবাদী বামপন্থী সংগঠনগুলির ছাত্রদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদী বামপন্থী সংগঠনগুলির ছাত্ররা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে মেদিনীপুর মহিলা থানায় ছাত্রীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছিলেন কর্তব্যরত বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এবার মেদিনীপুর মহিলা থানার ওই ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
বিরাট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
অভিযোগ ওইদিন মেদিনীপুর মহিলা থানার আইসি সাথী বারিকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁদের অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিল। এই ঘটনায় আলাদা আলাদা অভিযোগ জানিয়েছিলেন দুই এসএফআই নেত্রী সুচরিতা দাস ও ডিএসও নেত্রী সুশ্রিতা সরেন। এরপর এই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টেও আলাদা মামলা করেছিলেন ২ নেত্রী।
সুচরিতার করা মামলায় সিসিটিভি ফুটেজসহ যাবতীয় ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে IPS মুরলীধর শর্মাকে খতিয়ে দেখে ২৫ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বুধবার হাইকোর্টে ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে। আদালতে এদিন সুচরিতার করা মামলায় সিসিটিভি ফুটেজসহ যাবতীয় ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে,IPS মুরলীধর শর্মাকে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। জানা যাচ্ছে বুধবার হাইকোর্টে এই মামলাটির শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫৬৩৫ টি শূন্যপদ! রাজ্যে আবার শিক্ষক নিয়োগ কবে? মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
হাইকোর্টে এদিন সুচরিতা ও সুশ্রিতার করা ২টি মামলার শুনানি একসঙ্গে হয়েছে। অভিযোগ শুনে বিচারপতি এদিন, এই ঘটনায় IPS মুরলীধর শর্মাকে যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সাথী বারিকসহ যে সব মহিলা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন বিচারপতি।
বাম নেত্রী সুশ্রিতা সরেনের আইনজীবীর বক্তব্য মন দিয়ে শোনার পর বিচারপতি এদিন বলেন তাঁকে মারধরের তথ্যপ্রমাণও খতিয়ে দেখা যেতে পারে। এছাড়া এই ঘটনায় আদিবাসী কমিশনকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসাথে অভিযোগকারীদের আঘাত পরীক্ষা করার জন্য রাজ্যের নামি চিকিৎসকদের দিয়ে বোর্ড গঠন করা যায় কি না তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন জাস্টিস ঘোষ।