বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়মের নো তোয়াক্কা! স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের (Panchayat Pradhan) হুকুমে কাটা হচ্ছে কয়েক লক্ষ গাছ। তারপর ওই গাছগুলি নিলাম করে বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ প্রধান। এর বিরোধীতা করে সরব হন স্থানীয়রা। মামলাও করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা আপাতত গাছ কাটা এবং নিলামের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। আর হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই সুর বদল প্রধানের।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই সুর বদল?
আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলিত প্রয়াসে বেশ কিছু ইউক্যালিপটাস গাছ লাগায়। ২০১২ সালে সেই সকল গাছ টেন্ডার করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েত। এর বিরোধীতা করে আদালতে মামালা করেন দুই এলাকাবাসী। তখনকার মতো থমকেও যায় গাছ কাটার কাজ।
সম্প্রতি বাঁকুড়ার ওই সিহড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১০ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার জন্য নিলাম ডাকেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। যার দর ধরা হয় ১৬ লক্ষ টাকা। তড়িঘড়ি বিষয়টি আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। আইনজীবীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ গাছ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এভাবে গাছ নিলাম করতে পারে না।
আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে বাঁকুড়ার মহকুমাশাসক কোতুলপুরের বিডিও এবং ডিএফওর তরফে কিছু জানা যায়নি। আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি। আপাতত গাছ কাটা এবং নিলামের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, পঞ্চায়েত প্রধান কেন ওই গাছগুলি নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বিষয়ে বন দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। আদালতের নির্দেশ কোতুলপুর থানাকে পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রিপোর্ট দিতে হবে বন দফতরের বিভাগীয় আধিকারিককে (ডিএফও)।
এদিকে আদালতের নির্দেশ জানার পরই উল্টো পথে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দাবি, যে প্লটের গাছ নিলাম করা হয়েছে সেখানে ১০৫৫ টি ইউক্যালিপটাস গাছ রয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র যেই গাছ গুলি পরিণত সেগুলি নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি বলে জানান প্রধান।