বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনার সরকারের পতনের পর, অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে সামাজিক-প্রায় সবক্ষেত্রেই বেশ খানিকটা বদল হয়েছে বাংলাদেশে। ক্ষমতায় এসেছে ইউনূস সরকার আর এই সরকারের আমলেই চিনের সাথে বন্ধুপ্রীতি গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের। এককথায় বলা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ঢাকার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্কে বেজিং (Bangladesh-China) কিন্তু বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে।
চিন ও বাংলাদেশের (Bangladesh-China) মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক
এবার চিনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যেও সেকথা রীতিমতো স্পষ্ট হয়ে গেল। জানা গিয়েছে, আগামী ২৬-২৯ মার্চ বাংলাদেশের (Bangladesh) মুখ্য উপদেষ্টা যেতে পারেন চিন সফরে। সব প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি প্রধানদের ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে। তবে, এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত মন্তব্য করতে নারাজ চিনের (China) রাষ্ট্রদূত। সেন্টার ফর অলটারনেটিভসের উদ্যোগে আয়োজিত একটি সেমিনারে একথা বলেন।
আরও পড়ুন : নতুন মেগা আসতেই “ভোল বদল”! রাতারাতি সিরিয়াল “চেঞ্জ” ৪ তারকার, ওলটপালট সব হিসেব
‘ন্যাশানাল ইমেজ অফ চায়না ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি জানান যে, প্রত্যেকটা দেশের নিরিখে গণতন্ত্রের পরিবেশ পরিস্থিতি আলাদা। গণতন্ত্রের কোনও সর্বজনীন রূপ নেই। সংশ্লিষ্ট দেশের মানুষ এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এদিকে,বাংলাদেশে থাকা চিনের (Bangladesh-China) রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের বক্তব্যে একথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্থায়ীত্ব, ঐক্যবদ্ধতা ও গণতন্ত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে একবার যাচাই করে নিতে চাই চিন।
আরও পড়ুন : জি বাংলার কাছে লাগাতার হার, রাতারাতি “মোড় ঘোরানো” পর্বে বদলে গেল আমূল ট্র্যাক! ঝড় আসছে TRP-তে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চিনের বিনিয়োগ নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশিরা। পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি নিয়ে ঐতিহাসিক সম্পর্কের পরিণতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নের উপর। একদিকে যেমন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীরা চিনে যাচ্ছেন, ঠিক তেমনভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির পর থেকে ১৪টি চিনের কোম্পানি ২১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সম্পর্ক নিয়ে চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চিন বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মায়ানমারে বিশেষত রাখাইন স্টেটে নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই জটিলতা কাটাতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে। তবে, বাংলাদেশে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই একেবারে গলায় গলায় হয়ে যাচ্ছে চিন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, ওপার বাংলায় বাড়ছে চিনের বিনিয়োগও।