বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মী (Government Employees) ও রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা সহ বেশ কিছু দাবি রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। বর্তমানে শীর্ষ আদালতে সেই মামলা ঝুলছে। এই আবহে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৪% হারে ডিএ বাড়ানো হলেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমন হয়নি। এমতাবস্থায় সামনে আসছে বড় খবর!
প্রতিবাদে নামল রাজ্যের ‘এই’ কর্মীরা! চাপ বাড়ল সরকারের (Government of West Bengal)?
শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, সরকারের প্রত্যেক বিভাগেই একাধিক কর্মী কাজ করেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যেমন আশা কর্মীদের কথা অনেকেই জানেন। বিশেষত গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে তাঁদের গুরুত্ব ও কাজের চাপ দুই-ই বেশি। এবার দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধি না করায় রাজ্যের এই আশা কর্মীদের একাংশই প্রতিবাদে নেমেছেন।
বিগত কয়েক বছরে বাংলার গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আশা কর্মীদের (ASHA Workers) গুরুত্ব অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি নানান টীকা কর্মসূচি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানান সমীক্ষা, গর্ভবতীদের প্রসব নিশ্চিত করা সহ বেশ কিছু দায়িত্ব থাকে তাঁদের কাঁধে। জানা যাচ্ছে, কেবলমাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই প্রায় ১৬০০ জন আশা কর্মী রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ নানান দায়িত্ব থাকলেও প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে আসতে তৈরি ৪ জন BJP সাংসদ! ছাব্বিশের ভোটের আগেই কুণালের দাবিতে তোলপাড় বাংলা
এই নিয়ে সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে বিক্ষোভ দেখান আশা কর্মীরা। ৩ থেকে ৫ মাসের বকেয়া ভাতা (Allowance) প্রদান, মাসিক ভাতা বাড়িয়ে ১৫,০০০ টাকা করা, কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত আশা কর্মীর পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া সহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবিলম্বে যদি এই দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আগামীদিনে সকল কাজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ওই জেলায়।
আন্দোলনকারী আশা কর্মীদের কথায়, সারা মাস ধরে কাজ করার পর ভাতা হিসেবে মাত্র ৫২৫০ টাকা দেওয়া হয় তাঁদের। ৩ থেকে ৫ মাস সেই ভাতাও বকেয়া পড়ে রয়েছে। বাজেটের আগে অনেকে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। ভেবেছিলেন, এবার হয়তো কিছুটা হলেও পরিস্থিতির বদল হবে। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। এরপরেই প্রতিবাদের পথ বেছে নেন আশা কর্মীরা।