বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১০ মাস পর ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের (Trinamool Congress) সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বুধবার শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমরা রসগোল্লা খাওয়াব নাকি?’
শুভেন্দুকে কড়া হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের (Humayun Kabir)!
বুধবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেন ভরতপুরের বিধায়ক। শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন হুমায়ুন। বলেন, ‘উনি যদি মারতে আসেন, আমরা কি তাহলে রসগোল্লা খাওয়াব নাকি? মুসলিম বিধায়কদের উনি অসম্মান করবেন, আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলার কথা বলবেন, আর তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াব না। যা জবাব দেওয়ার সেটাই দেওয়া হবে। উনি আছাড় মারার কথা বলেছেন, আমি ঠুসে দেব’।
এরপরেই শুভেন্দুকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)। তিনি বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন ও মুসলিম বিধায়কদের কাছে ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া হবে, তিনি আদতে কত বড় নেতা হয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে ৪২ জন মুসলিম বিধায়কের সম্মুখীন হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মার্চেই দাবদাহ গরম! দোলের দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি? ভয় ধরাচ্ছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
হুমায়ুন বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কেবলমাত্র মেদিনীপুর কিংবা কলকাতার বিরোধী দলনেতা নন। তিনি গোটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কত বড় মাতব্বর হয়েছেন দেখে নেবে। তাঁকে মুর্শিদাবাদে ঢুকতে দেব না’। এই প্রসঙ্গে ২০১৬ সালের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক।
হুমায়ুন বলেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও জেলা পর্যবেক্ষক হওয়া সত্ত্বেও সেবার মুর্শিদাবাদে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রেজিনগরে বক্তৃতাই দিতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘চোরের মতো পালিয়ে গিয়েছিল শুভেন্দু। কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউস থেকে দিদিকে বলেছিল আমায় টিকিট না দিতে। পরে আমায় টিকিট দেওয়া হয়নি’। এরপর কী হয়েছিল সেকথা প্রত্যেকেই জানেন, অবগত করিয়ে দেন ভরতপুরের বিধায়ক।
এদিকে গতকাল বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘এরা বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লিতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপ-কে উপড়ে ফেলেছে। বাংলাতেও আগামী বছর তাই হবে। ওদের দলের যে সকল মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবেন, তাঁদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পর এই রাস্তায় ফেলব!’ এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পাল্টা দেন হুমায়ুন (Humayun Kabir)। ‘আমরা রসগোল্লা খাওয়াব না’, পরিষ্কার বলেন তিনি।