বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার আকাশে-বাতাসে এখন বসন্তের মধুর ছোঁয়া। হিল্লোলিত হিয়ায় শুধুই রঙিন ফাগুনের মৃদু স্পর্শের হাতছানি। প্রিয় মানুষের হাতের ছোঁয়ায় আবিরে রাঙিয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা সর্বত্র। আগামীকাল দোল পূর্ণিমার তিথিতে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। তবে রঙের এই বিশেষ উৎসব কোথাও পরিচিত দোল, আবার কোথাও পরিচিত হোলি (Dolyatra-Holi) হিসাবে।
দোল আর হোলির (Dolyatra-Holi) মধ্যে ফারাকটা ঠিক কোথায় :
বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মতে, ফাল্গুন মাসের পূ্র্ণিমা তিথির দিন রাধা ও তাঁর সখীদের সাথে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। বিভিন্ন পুরাণ ও ধর্মীয় গ্রন্থেও বর্ণনা পাওয়া যায় শ্রীকৃষ্ণের দোল যাত্রার। অনুমান করা হয়, তখন থেকেই প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের পূ্র্ণিমা তিথির দিনটি পালিত হয়ে আসছে দোল যাত্রা (Dolyatra) হিসাবে।
আরও পড়ুন : জমে যাবে খেলা, জি এর নতুন মেগাকে চাপে রাখতে “মারকাটারি” প্রোমো আনল জলসার সিরিয়াল!
রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমলীলার মাধ্যমে দোল যাত্রার সূচনা হলেও, হোলির নেপথ্যে রয়েছে অন্য এক পৌরাণিক কাহিনী। অনেকেই বলে থাকেন, ঝাঁসির বুন্দেলখণ্ডের আর্চ শহরে প্রথম সূচনা হয়েছিল হোলির। নৃসিংহ অবতারের হাতে হিরণ্যকশপ বধ হওয়ার ঘটনার উপর ভিত্তি করেই শুরু হয় হোলি (Holi)।
আরও পড়ুন : ভারতের সাথে হচ্ছেটা কী! এবার সেনার কাজেও নজরদারি করছে চিন? সন্দেহ হতেই অ্যাকশন শুরু
গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে রঙের উৎসব :
তবে শুধু ভারত নয়, রঙের উৎসব বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বেই। এমনকি বিশ্বের বহু ইসলামিক দেশেও মহাসাড়ম্বরে পালন করা হয় হোলি। বালি এবং জাকার্তায় ভারতীয় সম্প্রদায়ের পাশাপাশি স্থানীয়রাও অংশ নেন রঙের উৎসবে। বাদ যায়না বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপালও।
হোলি খেলায় সাদা ‘ড্রেসকোড’ :
তবে বহু কাল ধরেই হোলি খেলায় আনঅফিসিয়াল ‘ড্রেসকোড’ (Dresscode) হয়ে উঠেছে সাদা (White) রঙের পোশাক। বিশ্বাস করা হয় সাদা রঙ শান্তির প্রতীক। অনেকের মতে, রঙের উৎসবের মাধ্যমে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাদা রঙের পোশাক পরে রয়েছে হোলি খেলার রেওয়াজ।
আবার বসন্তকালের পরিবর্তিত আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে অনেকেই সাদা রংয়ের পোশাক পরে মেতে উঠেন রঙের উৎসবে। সাদা রঙের পোশাক অপেক্ষাকৃত কম তাপ শোষণকারী, তাই উষ্ণ জলবায়ুর দেশে গরমের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অনেকেই পরে থাকেন সাদা রঙের পোশাক।