বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘ঠিকানা’ এখন জেল। বিগত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে দিনযাপন করছেন তিনি। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর! ইডির প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হলেন তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হলেন কে?
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল বাংলা। এই দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের, গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় পার্থর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হলেন তাঁরই জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এর ফলে জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রীর বিপদ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এই মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে বিশেষ ইডি আদালতে আবেদন করেছিলেন কল্যাণময় (Kalyanmoy Bhattacharya)। আদালতের তরফ থেকে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বেচ্ছায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ মাফ করার আবেদন জানিয়েছেন কল্যাণময়।
আরও পড়ুনঃ ‘উল্টো করে ঝোলানো উচিত’! ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! পাল্টা কুণাল বললেন, ‘উনি আসলে…’!
নিয়োগ দুর্নীতির কোনও মামলায় এই প্রথম কোনও অভিযুক্ত রাজসাক্ষী দিতে রাজি হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, রাজসাক্ষী হিসেবে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে আদালত। জামাইয়ের এই পদক্ষেপের ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিপদ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পিংলায় একটি অভিজাত বিদ্যালয়ের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সেটি ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর স্ত্রীয়ের নামে। পরবর্তীতে জানা যায়, সেই অভিজাত বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন পার্থর জামাই। এরপর কল্যাণময়কে একাধিকবার তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বছর তিনেক আগেও ইডি (Enforcement Directorate) দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে পার্থর (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময়ের। ইডির অভিযোগ, দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে। পার্থর জামাই বিদেশে থাকতেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় এসে বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন। তখন আদালতের তরফ থেকে শর্ত দেওয়া হয়, নির্দেশ না পাওয়া অবধি দেশ ছাড়তে পারবেন না কল্যাণময়। এবার তিনিই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এবার এই মামলায় নয়া কোন তথ্য উঠে আসে সেটাই দেখার।