বাংলাহান্ট ডেস্ক : সালটা ১৮৪৬, প্রথম অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় কাশ্মীরের তৎকালীন রাজত্বকারী শিখ সাম্রাজ্য। এরপর অমৃতসর চুক্তির মাধ্যমে ইংরেজদের কাছ থেকে কাশ্মীর অঞ্চল কিনে জম্মুর রাজা গুলাব সিং অবতীর্ণ হন কাশ্মীরের শাসক রুপে। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত রাজা গুলাব সিংয়ের বংশধরদের অধীনেই শাসিত হয়ে এসেছে কাশ্মীর।
ভারতের স্বাধীনতার সাথে সাথেই দু ভাগে ভাগ হয়ে যায় সুবিশাল ভারতীয় উপমহাদেশ। ভারত ভাগের পর থেকেই কাশ্মীরের (Kashmir) কিছু কিছু অংশের স্বত্ব দাবিতে সম্মুখ সমরে এসে পৌঁছায় ভারত, পাকিস্তান (India-Pakistan) ও চিন (China)। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রাজা হরি সিং।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) দ্বন্দ্ব
দেশ বিভাজনের অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই কাশ্মীরে ঘাঁটি গাড়ে বহিরাগত পাকিস্তানি সেনা ও পাশতুন যোদ্ধাদের দল। তাদের হটাতে ভারতের তরফে শুরু হয় পাল্টা অভিযান। তবে পর্যাপ্ত রসদের অভাবে মাঝপথেই অভিযান স্থগিত রাখতে একপ্রকার বাধ্য হয় ভারতীয় সেনা। ঠিক হয় পর্যাপ্ত যুদ্ধাস্ত্র ও রসদ এলে পুনরায় দখল মুক্তি অভিযান শুরু করবে ভারত।
আরোও পড়ুন : পড়ুয়াদের খুলল কপাল! SBI আনল দুর্দান্ত স্কলারশিপ, মিলবে লক্ষ লক্ষ টাকা, এভাবে করুন আবেদন
এই আবহেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের (India-Pakistan) মাটি দখলের অভিযোগে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শরণাপন্ন হন রাষ্ট্রসঙ্ঘের। পরবর্তীকালে দুই দেশের সেনারা যে যেখানে অবস্থানে ছিলেন, সেটাই হয়ে ওঠে লাইন অফ কন্ট্রোল। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৭৫টিরও বেশি বছর। ক্রমেই বিশ্ব মানচিত্রে পাকিস্তান (Pakistan) চিহ্নিত হয়েছে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে। জঙ্গি কার্যকলাপ আর ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি অবক্ষয়ের চরম সীমায় নিয়ে ফেলেছে পাকিস্তানকে।
এই পরিস্থিতিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বাসিন্দারাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ইসলামাবাদের অপশাসনে। কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রসঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যখন পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ছেড়ে দেবে, তখনই যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে কাশ্মীরের।’