বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য চালু সংরক্ষণ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মাঝে অন্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে, প্রশ্ন বেঁধে দিয়ে সমীক্ষা শুরুর কথা বলা হয়েছে।
ওবিসি নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য-OBC Certificate
যেখানে মামলা সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন সেখানে হঠাৎ কেন সমীক্ষার তোড়জোড়? একটি সূত্রের খবর, রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর মুসলিমদের যাতে সংরক্ষণের আওতায় আনার ভাবনা রয়েছে। তাই এই পদক্ষেপ। প্রয়োজনে আর্থিক ভাবে দুর্বল (ইডব্লিউএস) অংশের আওতায় চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কী না সেই সম্ভাবনাও বিচার করা হচ্ছে।
নতুন করে এই সমীক্ষা নিয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক বলেন, ‘‘ওবিসি-র বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। অবস্থায় এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’’ এদিকে রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশই বহাল আছে। আদালত কী রায় দেয় সেই দিকটা দেখেই কোনো সিদ্ধান্ত হবে।” তবে ওবিসি এ এবং বি ক্যাটিগরির সংরক্ষণকে আইনি বৈধতা দিতে গেলে যুক্তিসঙ্গত সমীক্ষা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় (OBC Certificate) ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সেই রায়ে এক ধাক্কায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
আরও পড়ুন: এবার বিপাকে রাজ্যের শিক্ষকরা! বিরাট পদক্ষেপ নিল CBI, দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়
উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দরবারে যায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলা চলছে। আগে রাজ্যের আইনজীবী হাইকোর্টের রায়ের উপর যাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় সেই আর্জি জানান। তবে সুপ্রিম কোর্ট তরফে হাইকোর্টের রায়ের উপর কোনো স্থগিতদেশ দেওয়া হয়নি।