বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরবিআই’র (Reserve Bank of India) নজরে এবার ইন্ডাসিন্ড ব্যাংক। ১০০-২০০ নয়, ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের হিসাবের খাতা থেকে উধাও প্রায় ২১০০ কোটি টাকা। এই ব্যাপক গরমিলের খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে যায় গোটা দেশজুড়ে। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের এই হিসাব গরমিলের বিষয়টি রাতের ঘুম কেড়েছে ব্যাংক গ্রাহকদের।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) বিবৃতি প্রকাশ
এই আবহেই এবার ভারতের শীর্ষ ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে প্রকাশিত হল বিশেষ বিবৃতি। আরবিআই-এর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের হিসাব খাতায় বড় অঙ্কের গরমিল থাকলেও, চিন্তা নেই গ্রাহকদের। বর্তমানে বেশ শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানে রয়েছে ভারতের এই বেসরকারি ব্যাংক।
আরও পড়ুন : ‘সারদার বড় বেনিফিশিয়ারিটা কে’? কটাক্ষের মুখে পড়লেন কুণাল ঘোষ! হঠাৎ কী হল?
তথ্য দিয়ে আরবিআই (Reserve Bank of India) জানিয়েছে, বর্তমানে এই ব্যাংকের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও ১৬.৪৬%, যা যথেষ্ট শক্তিশালী। পাশাপাশি বর্তমানে ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের প্রভিশন কভারেজ রেশিও ৭০.২০% এবং লিকুউডিটি কভারেজ রেশিও ১১৩%, আরবিআই (RBI) নির্ধারিত রেশিও ১০০ শতাংশের চেয়ে যা অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন : আবহাওয়ার ইউ টার্ন! ৯ রাজ্যে তাপপ্রবাহ, ১৫ রাজ্যে বৃষ্টি, কী হবে বাংলায়?
একইসাথে বিবৃতিতে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিস্তর এই গরমিল অনুসন্ধানে ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের তরফে গঠন করা হয়েছে একটি স্বাধীন অডিট টিম। এই টিম ব্যাংকের হিসাব খাতার অসামঞ্জস্য খতিয়ে দেখার পাশাপাশি যাবতীয় হিসাব নিকাশের কাজ করবে। ইন্ডাসিন্ড ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুত এই ভুল সংশোধনে আগ্রহী।
সম্পূর্ণ বিষয়টি স্বচ্ছভাবে প্রকাশ্যে আনা হবে মার্চ মাসের মধ্যেই। শীর্ষ ব্যাংকের আদেশ অনুযায়ী, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পরিচালন পর্ষদকে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। নির্দেশিকা দিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকের তরফে দ্রুত হিসাব গরমিলের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে হবে এবং গরমিল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে প্রত্যেকটি স্টকহোল্ডারকে।
ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের (Indusind Bank) সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুমন্ত কাঠপালিয়া এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, হিসাব খাতায় আর্থিক গরমিলের বিষয়টি নজরে আসে গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। এই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট গত সপ্তাহে দেওয়া হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংককে। তবে ঠিক কত টাকার আর্থিক গরমিল হয়েছে তা জানা যাবে অডিটের পরই।