বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) ঝিলম এলাকায় ফের গোলাগুলি হয়েছে। যেখানে মৃত্যু ঘটেছে ২ জনের। এদিকে, সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্যে জানা গিয়েছে যে, যে লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সাঈদ, ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল নিহতদের মধ্যে ছিল। তবে হাফিজ সাঈদের মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। এই হামলায় নিহত এক সন্ত্রাসবাদীর নাম আবু কাতাল। তবে অন্য সন্ত্রাসবাদীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানে (Pakistan) বড় হামলা:
আবু কাতাল সিংঘী কে ছিল: জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তানে (Pakistan) এই হামলায় হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ভাইপো আবু কাতাল সিংঘী নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝিলামে গুলিবৃষ্টিতে প্রাণ হারায় সিংঘী। ANI সিংঘীকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছিল। পাশাপাশি, দেশের নিরাপত্তা সংস্থা সিংঘীর সন্ধানেও ছিল।

সেই সিংঘী এবার পাকিস্তানে (Pakistan) খুন হল। গত বছরের ৯ জুন জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে যে হামলা হয়েছিল তাতেও সিংঘীর বড় ভূমিকা ছিল। সিংঘি ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল। তীর্থযাত্রীরা শিবখোদি মন্দির দর্শন করে ফেরার সময় একটি বাসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি কাশ্মীরে আরও অনেক হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল আবু কাতাল সিংঘী।
আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে ভারতকে চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের! পড়শি দেশ যা করল…..জানলে হবেন “থ”
আবু কাতাল সম্পর্কে বিস্তারিত: হাফিজ সাঈদের ভাইপো আবু কাতাল ছিল লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ কমান্ডার। ভারতে বহু হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও ছিল সে। ২৬/১১ হামলার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল এই সন্ত্রাসবাদী। ২০২৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে হামলার জন্য ১১ টি হামলায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল আবু কাতাল। রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বাসে হওয়া হামলায় ১০ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: জোরকদমে চলছে টক্কর! হিটম্যানের পর কে হবেন ভারতের অধিনায়ক? এগিয়ে রয়েছে এই ৩ নাম
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদ সম্পর্কে বিস্তারিত: হাফিজ সাঈদের সন্ত্রাসবাদীসংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় ছিল হাফিজ। যে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। এর পাশাপাশি পুলওয়ামা হামলারও মূল পরিকল্পনাকারী। লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি সংগঠনের ওপর প্রায় এক কোটি ডলার পুরস্কার রয়েছে। হাফিজ সাঈদ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ফান্ডিংয়ের মামলায় জেলও খেটেছে।