বাংলাদেশ-পাকিস্তান নয়! ভারতের সাথে সু-সম্পর্ক রাখতে মরিয়া এই পড়শি দেশ, এল বিশেষ বার্তা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এলাকা দখলের মরিয়া লড়াই বিপর্যস্ত করে তুলেছে এই গোটা দেধটাকে। সেদেশের শাসনাধীন সরকার ও বিরোধী শক্তির লড়াই দিন দিন অন্ধকার এক ভবিষ্যতের দিকে চালিত করছে ভারতের (India) এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে। এই আবহে সেই দেশের সরকারের তরফে ভারতের উদ্দেশ্যে এল এক বিশেষ বার্তা। সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্বের রাজনীতিকদের একাংশকে নিশানা করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট না করার বার্তা দিয়েছে সেই দেশের বর্তমান সরকার।

ভারতকে (India) বিশেষ বার্তা এই প্রতিবেশী দেশের

নিশ্চয়ই ভাবছেন, আবার কোন দেশের কাছ থেকে ভারতের (India) কাছে বার্তা এল? দেশটি হচ্ছে মায়ানমার (Mayanmar)। এখন, মায়ানমারের সাথে ভারতের সম্পর্ক কেমন হতে চলেছে সেই বিষয়েই একটু আলোচনা করা যাক। মায়ানমারের জুন্টা সরকারের দাবি, মণিপুর ও মিজ়োরামের নেতারা মায়ানমারের কিছু অংশকে নিজেদের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন।

আরও পড়ুন : ‘আমাকে পাকিস্তানে পাঠালে আমি ওকে আস্ত রাখব?’ কাকে বেললাগাম আক্রমণ হুমায়ুনের?

সম্প্রতি আবার চিন জনগোষ্ঠীর জঙ্গি নেতারা একটি বৈঠকও করেন মিজোরামে। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতের (India) উত্তর পূর্বের রাজনৈতিক নেতাদের একাংশকে মায়ানমারের সার্বভৌমত্বের কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন জুন্টা সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জৌ মিন টোন। জুন্টা সরকার দাবি করেছে, ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্তির জন্য চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে উস্কাচ্ছেন মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা।

আরও পড়ুন : সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ! এবার পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন নমো

এমনকি মায়ানমারের কাবউ উপত্যকাকে মণিপুরের অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছেন সেরাজ্যের বিজেপি সাংসদ মহারাজা সানাজাউবা লেইসেম্বাও। আগে থেকেই ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের জো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে এক প্রশাসনিক কাঠামোয় নিয়ে আসার দাবিতে সরব রয়েছেন মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা। সেই কারণে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের বিরোধিতাও করেছেন তিনি।

This country wants relationship with India

অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ সানাজাউবা চলতি বাজেট অধিবেশনে বলেন, মায়ানমারের কাবউ উপত্যকা ছিল মণিপুরের রাজার অধীনে। ইয়ান্ডাবু সন্ধি এবং কাবউ উপত্যকা চুক্তি লঙ্ঘন করেই  ১৯৫৩ সালে জহরলাল নেহেরু একে তুলে দেন মায়ানমারের হাতে। এই পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। নাম না করে পরোক্ষোভাবে এবার তাই সম্পর্ক নষ্ট না করার বার্তা দিয়ে রাখল তারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর