বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে সব শিবির। পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে তুঙ্গে প্রস্তুতি। এরই মধ্যে আজ রাজ্যসভায় সাংসদ তথা রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) তসলিমা নাসরিনকে (Taslima Nasrin) কলকাতায় (Kolkata) সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনার দাবি জানালেন।
কোন পথে বিজেপি?
তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর জন্য জিরো আওয়ারে সরব হলেন শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। ২৬-র ভোটের আগে প্রতিবাদী লেখিকাকে কলকাতায় ফেরানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। মুসলিম মুখ তসলিমাকে ফিরিয়ে আনতে সর্বোপরি চেষ্টা করবে বিজেপি।
এখানে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী ২৬-এর ভোটের আগে বিজেপির নয়া অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন তসলিমা? তাহলে কী গেরুয়া শিবিরের হয়ে এবার প্রচারে দেখা যাবে লেখিকাকে? প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা বহুদিন ধরে ভারতে কিন্তু কলকাতাতেও ঠাঁই হয়নি তার।
রাজ্যসভায় তসলিমা নাসরিনকে কলকাতায় আশ্রয়ের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। সঠিক নিরাপত্তা সহ যাতে সসম্মানে তসলিমা নাসরিনকে যাতে তার প্রাণের শহর কলকাতায় ফেরানো হয় সেই দাবি তুলেছেন শমীক ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরে মহানগরীতে ফেরার রাস্তা বন্ধ লেখিকার। এবার সেই কলকাতাতেই প্রতিবাদী লেখিকাকে ফেরাতে উদ্যোগ বিজেপির। উল্লেখ্য ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর কলকাতা ছাড়তে হয় বিতর্কিত লেখিকা তসলিমাকে।
তসলিমাকে ফেরানোর দাবিতে এদিন সংসদে জোড়ালো সওয়াল করেন শমীক। সাংসদ বলেন, যে মানুষ মানবজাতির জন্য চেষ্টা করে না, সে প্রকৃত মানুষ নয়। ডক্টর নাসরিনের জীবন ও কর্ম তার প্রমাণ। লেখিকা ‘লজ্জা’ উপন্যাসের কথা উল্লেখ করে শমীক বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচারের ঊর্ধ্বে। ধর্ষণ, খুন, রূপান্তর সবকিছু। কিভাবে তার উপর অত্যাচার চলে সেই কথাও তুলে ধরেন শমীক।
সাংসদের দাবি, কলকাতায় ফিরে আসতে চান তসলিমা। বাংলায় কথা বলতে চান, কবিতা লিখতে চান, বাংলায় সাহিত্য সৃষ্টি করতে চান। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি এই লেখিকা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে আশ্রীত হিসেবে থাকলেও মৌলবাদীদের চাপে পড়ে প্রাণের শহর কলকাতাতে ঠাঁই হয়নি তার। রাজ্যে বাম সরকারের পতনের পর বহুবার কলকাতায় ফেরত আসতে চেয়েছেন তসলিমা। কিন্তু তাকে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে তসলিমাকে ফেরানোর দাবি তুলল বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তসলিমা নাসরিনকে ফিরিয়ে এনে একদিকে সংখ্যালঘু অন্যদিকে এ রাজ্যের হিন্দুদের কাছেও বড় বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি।