আবেদন মঞ্জুর! দেড় মাস পর আরজি কর মামলা উঠতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট! তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে চলছে আর জি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার এজলাসে উঠেছে আর জি কর মামলা। এর আগে মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল গত ২৯ জানুয়ারি। প্রায় দেড় মাস পর আজ ফের মামলাটি উঠতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

আর জি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে-RG Kar Case

এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, নির্যাতিতার বাবা-মা আদালতেও উপস্থিত রয়েছেন। যাতে হাই কোর্টের একক বেঞ্চ সিবিআইকে আরও তদন্তের নির্দেশ দেয় সেই নিয়ে আবেদন জানানো হয়। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, “আমরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। হাই কোর্টের একক বেঞ্চ এই মামালা শুনতে পারে।”

আদালতে তিলোত্তমার মা-বাবার আবেদন ছিল, সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হলে বারবার দিল্লি যাওয়া তাদের জন্য অসুবিধার। তাই কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি হলে তা তাদের জন্য অনেক সহজ হবে। নির্যাতিতার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ আবেদন শুনতে পারবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

এবার থেকে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে। আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত, মেয়ের ধর্ষণ-খুনের তদন্ত নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন মেয়ের প্রতি হওয়া চরম অন্যায় নিয়ে সিবিআই-এর তিলোত্তমার মা-বাবা। তাই অন্য কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানান তারা।

RG Kar

আরও পড়ুন: নর্দমায় ফেলা হয়েছে মোবাইল, পোড়ানো হয়েছে ডায়েরি! নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রমাণ লোপাট এই ‘হেভিওয়েটের’ নির্দেশে

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ছিল, মূল অপরাধী সঞ্জয় ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। মেয়ের ন্যায়-বিচার সহ একাধিক দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় তিলোত্তমার পরিবার। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই সংক্রান্ত একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই শীর্ষ আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলা হাইকোর্ট শুনতে পারে না। এরপরই সমাধানসূত্র পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই মিলল গ্রিন সিগন্যাল।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর