বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চিন পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট J-35A প্রস্তুত করেছে। এদিকে, পাকিস্তানও চিনের সাথে J-35A নিয়ে একটি চুক্তি করতে পারে। যার পরে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীও শক্তিশালী হবে। এদিকে, এখান ভারতের (India) কাছে বর্তমানে ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান রয়েছে। এমতাবস্থায়, ভারত (India) পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটারের বিকাশকে ত্বরান্বিত করার এবং শীঘ্রই এটিকে বিমান বাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। জানা গিয়েছে যে, প্রতিরক্ষা সচিবের সভাপতিত্বে একটি শীর্ষ স্তরের কমিটি অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (AMCA) উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
বড় পদক্ষেপের পথে ভারত (India):
প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং-এর নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার ডেপুটি চিফ এয়ার মার্শাল এসপি ধরকার, ডিফেন্স প্রোডাকশন সেক্রেটারি সঞ্জীব কুমার, ডিআরডিও এবং অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ)-র শীর্ষ আধিকারিকরা রয়েছেন। আগামী মাসে সরকারের কাছে ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। এদিকে, ভারত (India) এমন এক সময়ে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট নিয়ে কাজ করছে যখন পাকিস্তান চিন থেকে অন্তত ৪০ টি J-35A স্টিলথ ফাইটার জেট কেনার পরিকল্পনা করছে। এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে, চিন ভারতের হোতান এবং শিগাতসে বিমানবন্দরে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট চেংডু জে-২০ মোতায়েন করেছে।
ইঞ্জিনের জন্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হবে: জানিয়ে রাখি যে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) দ্বারা চতুর্থ প্রজন্মের তেজস জেট উৎপাদনে বিলম্বের পরিপ্রেক্ষিতে, এই কমিটি টাইমলাইনের মধ্যে ফাইটার জেট তৈরির দিকেও মনোনিবেশ করবে। এজন্য বেসরকারি কোম্পানিগুলির সঙ্গেও চুক্তি করা হবে। এই কমিটি বিদেশি প্রযুক্তির সহযোগিতায় ২৫ টন AMCA-র ১০০ কিলোনিউটন থ্রাস্ট-ক্লাস ইঞ্জিনের দেশীয় উন্নয়নের পরিকল্পনাও বিবেচনা করবে। এজন্য আমেরিকান জেনারেল ইলেকট্রিক, ফ্রান্সের সাফরান, ব্রিটিশ রোলস রয়েসের মতো বড় অ্যারো ইঞ্জিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করে: ২০২৪ সালের মার্চ মাসে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা কমিটি ১৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে টুইন-ইঞ্জিন AMCA-র পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল। এদিকে, বর্ধিত থ্রাস্ট-টু-ওয়েট রেশিও, অ্যাডভান্স সেন্সর ফিউশন এবং সর্পেন্টাইন এয়ার-ইনটেকের মতো স্টিলথ বৈশিষ্ট্য সহ AMCA ২০৩৫ সালের মধ্যে তৈরি করা হবে। একটি সূত্র TOI-কে বলেছে যে সময়সীমা হ্রাস করার বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তবে বায়ুসেনার ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত ত্রুটিগুলির কারণে একটি প্রচেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: অনুশীলনেই বড় চমক! রিঙ্কু-রাসেল নয়, KKR-এর “তুরুপের তাস” হবেন এই খেলোয়াড়
ভারতের বর্তমানে ৩১ টি স্কোয়াড্রন রয়েছে: বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনা একটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন গিয়েছে। বিমান বাহিনীর কমপক্ষে ৪৮ টি স্কোয়াড্রন প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে এটি মাত্র ৩১ টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে অন্তত আরও ৮ টি স্কোয়াড্রন ড্রোন অবসর নিতে চলেছে। জানিয়ে রাখি যে, একটি স্কোয়াড্রনে ১৮ টি যুদ্ধবিমান থাকে। ভারত (India) গত কয়েক বছরে ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬ টি রাফালে যুদ্ধবিমান কিনেছে। যেখানে থেকে ২ টি স্কোয়াড্রন গঠন করা হয়। একটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল এবং অন্য স্কোয়াড্রন চিনের সীমান্তে মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন: ২০ টাকারও নিচে দাম! শেয়ার বাজারে বড় চমক আম্বানির এই কোম্পানির, করে দেবে মালামাল
AMCA-র ৭টি স্কোয়াড্রন বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: এয়ার ফোর্স বর্তমানে AMCA-এর ৭ টি স্কোয়াড্রন (১২৬ টি জেট) অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। যাতে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে AI চালিত ইলেকট্রনিক পাইলট সিস্টেম, নেটসেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড ভেহিক্যাল হেলথ ম্যানেজমেন্টের মতো বৈশিষ্ট্য থাকবে। প্রথম ২ টি স্কোয়াড্রনে ৯৮ কিলোনিউটন থ্রাস্ট ক্লাস GE-F414 ইঞ্জিন থাকবে। পরবর্তী ৫ টিতে ১০০ কিলোনিউটন ইঞ্জিন থাকবে। ১৮০ টি তেজস মার্ক-১ এ এবং ১০৮ টি তেজস মার্ক ২ জেটকে ধীরে ধীরে যুক্ত করে বিমান বাহিনীর সাথে যুদ্ধ বিমানের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যার ক্ষতিপূরণ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।