বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের একাধিক ক্ষেত্র বিদেশী পণ্যের উপর কমিয়েছে নির্ভরতা। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে রেলওয়ে থেকে প্রতিরক্ষার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতে।
আত্মনির্ভর হচ্ছে ভারত (India)
এবার দেশের প্রতিরক্ষা ও রেল পরিষেবায় ব্যবহৃত সেন্সর তৈরি হতে চলেছে ভারতের (India) মাটিতেই। প্রতিরক্ষা কিংবা রেল, যেকোনও ক্ষেত্রেই কোনও সমস্যা বা বিপদের পূর্বাভাসের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সেন্সরের গুরুত্ব অপরিসীম। এতদিন বিদেশ থেকেই আমদানি করা হত এই ধরনের সেন্সর।
আরও পড়ুন : দল থেকে বহিস্কৃত! এদিকে অভিষেকের ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির শান্তনু, কিভাবে যোগ দিলেন?
তবে এবার ভারত সরকার বিদেশ থেকে আমদানি কমিয়ে, দেশের মাটিতেই এই ধরনের সেন্সর তৈরিতে উদ্যোগী হল। সরকারি উদ্যোগে কলকাতায় তৈরি হতে চলেছে সেন্সর হাব। প্রতিরক্ষা, রেল, বহুতল, উড়ালপুলে ব্যবহৃত সেন্সর নির্মাণ হবে কলকাতার এই হাবে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।
আরও পড়ুন : ‘এই সমস্যা কখনই বাংলায় ছিল না, বলতে বাধ্য হচ্ছি..,’ চটে লাল বিচারপতি, এল বিরাট নির্দেশ
সেই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে ভারতের মাটিতেই তৈরি হতে চলেছে ফাইবার সেন্সর। কেন্দ্রীয় উদ্যোগে সেন্সর হাব তৈরি হবে কেন্দ্রীয় গ্লাস এবং সিরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (MeitY) তরফে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ডিপিআর তৈরি-সহ অন্যান্য কাজের প্রাথমিক পরিকল্পনাও প্রস্তুত।
কেন্দ্রীয় গ্লাস এবং সিরামিক গবেষণা সংস্থার অধিকর্তা অধ্যাপক বিক্রমজিৎ বসু একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ‘সিএসআইআর-মেইতি ইনোভশন সেন্টার’ গড়ে তুলতে আমাদের সাহায্য করছে ৷ এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবেল-সহ একাধিক সংস্থা যুক্ত রয়েছে ৷ দেশে এই ধরনের ফাইবার বেসড সেন্সর তৈরিতে প্রথম কোনও সংস্থা হাব গড়ে তুলতে চলেছে ৷”
সূত্রের খবর, ‘সিএসআইআর-মেইতি ইনোভেশন সেন্টার’ নামক এই সেন্সর হাবে (Sensor Hub) মূলত নির্মাণ করা হবে পাঁচ ধরনের সেন্সর। দেশের (India) প্রথম আইওটি সেন্সর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান প্রদানকারী স্টার্টআপ সংস্থা হিসেবেও আগামী দিনে পরিচিত লাভ করতে চলেছে কলকাতার এই সেন্সর হাব।