বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় এক যুগ পর রমজান মাসে ফুরফুরা শরীফ গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা। যা নিয়ে, একে একে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজ্যের বিরোধীরা। বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ নওসাদ সিদ্দিকী সবাই প্রায় একই সুরে অভিযোগ করেছেন আসন্ন নির্বাচনের আগে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতেই ফুরফুরায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফুরফুরায় গিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মমতা (Mamata Banerjee)
সোমবার ফুরফুরা শরীফের ইফতারের অনুষ্ঠান থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বিরোধীদের একপ্রকার চুপ করিয়ে দিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। ফুরফুরা শরীফের ইফতার পার্টি থেকে প্রথমেই ঝাঁঝালো মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধীদের এই ধর্মের রাজনীতির অভিযোগ নিয়ে তিনি বিরক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট জবাব,’আমি যখন দুর্গাপুজো করি কালীপুজো করি তখন তো কেউই প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারের যোগ দিলে প্রশ্ন উঠছে কেন?’ প্রসঙ্গত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান (Mamata Banerjee) এদিন বললেন,’আগেও আমি ফুরফুরায় এসেছি, এটা ষোলো বার। মনে রাখবেন, আমি যেমন খ্রীশ্চানদের অনুষ্ঠানে যাই তেমনই ঈদ মুবারকেও যাই। ইফতার নিজে করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদোয়ারাতেও যাই, প্রতিটি ধর্মের অনুষ্ঠানেই আমি যাই। কারণ, আমি মনে করি বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। তাই যেমন দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছি, তেমনই রমজানে আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন সকলের রোজা কবুল করুন।’
আরও পড়ুন: বিজেপির ৩৬ জন বিধায়ক তৃণমূলে আসতে পারেন! তালিকায় কারা? বিরাট দাবি ফিরহাদের
ফুরফুরার পীরজাদাদের মুখেও এদিন শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা। তাঁর সম্প্রীতির বার্তার প্রশংসা করে তাঁরা বললেন, ‘এখানে হিন্দু মসুলমান সকলে একসঙ্গে বসবাস করি। কিছু অশুভশক্তি আমাদের এই ভালবাসার মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ভাবে নজর রেখেছেন।’
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর (West Bengal CM) এহেন সফরের আগেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন পীরজাদা তহা সিদ্দিকী। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা মন্তব্য এবং তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পালটা মন্তব্য নিয়ে যে চাপানউতর চলছে তা মোটেই ভালোচোখে দেখেননি মমতা। কিন্তু এই বিষয়টি রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজ কীভাবে দেখছে তা বুঝে নেওয়াই মমতার এই ফুরফুরা সফরের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিষেশজ্ঞরা।