বাংলাহান্ট ডেস্ক : জালিয়াতির মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন ব্যবসায়ী গৌতম আদানি (Gautam Adani)। আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এর শেয়ারের দামের হেরফের সংক্রান্ত মামলায় সম্প্রতি বড় স্বস্তি পেয়েছেন গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাই রাজেশ আদানি। গৌতম আদানি (Gautam Adani) সংস্থার চেয়ারম্যান এবং তাঁর ভাই এই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বম্বে হাই কোর্ট সম্প্রতি এই মামলায় আদানি ভাইদের জামিন দিয়েছে।
জালিয়াতির মামলায় রেহাই পেলেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)
উল্লেখ্য, গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারের নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এনে ৩৮৮ কোটি টাকার জালিয়িতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর আগে সেশনস কোর্ট এই মামলায় আদানি ভাই এবং ওই সংস্থাকে খালাস করতে অস্বীকার করেছিল। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দুই ভাই। আদানিদের (Gautam Adani) আইনজীবীরা কোর্টে বলেছিলেন, তাঁদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ভিত্তিই নেই। তারপরেই হাইকোর্ট সেই রায় বাতিল করে দেয়।
কী অভিযোগ ছিল: ২০১২ সালে SFIO এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, স্টক ব্রোকার কেতন পারেখের সঙ্গে মিলে শেয়ারের দামে হেরফের করেছেন আদানি (Gautam Adani) ভাইয়েরা এবং তাঁদের সংস্থা। উল্লেখ্য, ১৯৯৯-২০০০ সালে দেশের বৃহত্তম শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই কেতন পারেখ। এই মামলায় প্রথমে ২০১৪ সালে একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদানি ভাই এবং তাঁদের সংস্থাকে খালাস করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ের একটি সেশনস কোর্ট সেই রায় বদলে দেয়।
আরো পড়ুন : নিজের দেশেই “সরিয়ে দেওয়া”-র ছক! ভারতের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান
কোটি কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ: আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শেয়ারের দামের হেরফেরের মাধ্যমে আদানি (Gautam Adani) গোষ্ঠীর প্রোমোটাররা ৩৮৮.১১ কোটি টাকার এবং কেতন পারেখ ১৫১.৪০ কোটি টাকার বেআইনি লাভ করেছিলেন। সেশনস কোর্টের তরফে সে সময় বলা হয়েছিল, আদানি (Gautam Adani) ভাইদের বিরুদ্ধে মামলার জন্য যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে।
আরো পড়ুন : “অলি গলির ছেলেরাও…”, সোনার সংসারে কটাক্ষের মুখে রুবেল, পালটা জবাবে মন জিতলেন ‘শাক্যজিৎ’
পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ওই আদেশে স্থগিতাদেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। তারপর আরো কয়েকবার ওই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালে মামলার অগ্রগতিতে বিলম্বের বিষয়ে SFIO কে প্রশ্ন করে আদালত। কোর্টের তরফে আরো বলা হয়, ২০২২ সালের পরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়ানোর পর আর কোনো শুনানি হয়। সে সময় মার্কিন সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই শেয়ার বাজারে হিসেব জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল আদানি গোষ্ঠী।