বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ইফতার পার্টির (Iftaar Party) উদ্দেশ্য সফল হয়নি! ইফতারির পরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করলেন ত্বহা সিদ্দিকী (Twaha Siddiqui)। তিনি বলেন, ‘যে উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর ইফতার সেটা সফল হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী জানলেন যে সফল হয়েছে, আমরা জানি এটা সফল হয়নি’।
ফুরফুরা শরিফে মমতার (Mamata Banerjee) ইফতার পার্টি সফল হয়নি! দাবি ত্বহা সিদ্দিকীর
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেন ত্বহা। জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে একহাত নেওয়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী ইফতার পার্টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। দাবি করেন, ফুরফুরা শরিফে মমতার ইফতার পার্টির উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, সেখানে যারা গিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে পীরজাদা। আসলে এমনটা নয়। আমি গিয়েছিলাম। একটি খাম দিয়ে এসেছি। সেখানে সব লেখা রয়েছে’।
বিপক্ষ গোষ্ঠীকে নিশানা করে ত্বহা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধকারে রাখল। বলেছিল, ৮০ জন পীরজাদা পীর সাহেব যাবেন। ২০ জনের বেশি যায়নি। ২৮ জন বয়স্ক পীরজাদা ছিলেন। তবে তাঁরা যাননি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা যারা করতেন, তাঁরা ওখানে গিয়েছিলেন। এই সব পীরজাদাদের বাড়ির ভেতর অবধি উন্নয়ন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করেন। আজ পিছনে আসন ফাঁকা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিতে পরে প্রশাসনের লোকজন দিয়ে সেখানে আসন ভরানো হয়’।
আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান! BJP-র পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হচ্ছেন? সামনে বড় আপডেট
জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও (Snehasis Chakraborty) এদিন একহাত নেন ত্বহা। বিধায়ককে দেখা যায় না বলে তোপ দাগেন তিনি। ত্বহার কথায়, ‘যখন আসেন পাউডার মেখে আসেন। নিজেকে দাম্ভিক মনে করেন। আমাদের কপাল ভালো আমরা এমন একজন বিধায়ক পেয়েছি। উনি ১৪ বছরে ১৪,০০০ টাকা খরচ করতে পারেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পশ্চিমবঙ্গের চাণক্য মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। ত্বহা সিদ্দিকী কী জিনিস, স্নেহাশিস কী জিনিস উনি সব জানেন। ওনাকে স্যালুট’।
মুখ্যমন্ত্রী ইফতার পার্টি নিয়ে ত্বহা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) যারা কুকথা বলেন তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন। ত্বহার কথায়, ‘ওই কারণেই আমার যেতে ঘেন্না করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। আশীর্বাদ ও দোয়া করি। উনি বাংলায় যে উন্নয়ন করেছেন, সেটার জন্য ধন্যবাদ। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উনি লড়াই করছেন। আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি থাকবে, ছাব্বিশে যারা প্রার্থী হবেন, তাঁদের যেন মন মানসিকতা ভালো হয়। তাঁরা যেন মানুষ হিসেবে কাজ করেন’।
ত্বহা জানান, প্রার্থীদের হিন্দু-মুসলিম হতে হবে, এই ধরণের কোনও ব্যাপার নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ১০০ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানান তিনি। ত্বহা বলেন, ‘ফুরফুরায় উন্নয়ন বলতে যতখানি দরকার ততখানি না হলেও উন্নয়ন হয়েছে। আমি কেবলমাত্র ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন চাই না, বাংলার উন্নয়ন চাই’।