বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২৩ সালে চন্দ্রযান ৩-এর অভূতপূর্ব সাফল্য নয়া পালক যোগ করেছিল ইসরোর (ISRO-India) মুকুটে। আগামী দিনে ফের চন্দ্র অভিযানের লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন সম্প্রতি জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
বড়সড় আপডেট দিল ইসরো (ISRO-India)
রবিবার ইসরো (ISRO-India) প্রধান জানান, মাত্র ৩ দিন আগেই চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে এই মিশনের সঙ্গী হতে চলেছে জাপান। যৌথ এই মিশনে আরও ভারী রোভার দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ইসরো। পাশাপাশি এদিন জাপানের সাথে যৌথ উদ্যোগে চন্দ্রযান-৪ নিয়েও ইসরোর পরিকল্পনার কথা জানান ভি নারায়ণন।
আরও পড়ুন : হাতে মাত্র ৩ মাস! কেন্দ্রীয় সরকারকে সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট, কোন মামলায়?
ইসরো প্রধানের কথায়, ২০২৭ সালে জাপানের (Japan) সাথে যৌথভাবে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইসরো (Indian Space Research Organisation)। এই মিশনের মূল লক্ষ্যই হল চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পাঁচটি ভিন্ন মডিউল থাকতে চলেছে এই মহাকাশযানে।
আরও পড়ুন : বিধানসভার আলোচনা কেন লাইভ স্ট্রিমিং হয় না? ‘কীসের ভয়?’ এবার বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন শুভেন্দু
বিজ্ঞানীদের কথায়, বেশ কয়েকটি পর্যায় রয়েছে চন্দ্রযান-৪ মিশনেও। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে মূল মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে দুটি মডিউল। চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালাবে মডিউল দুটি। চন্দ্রপৃষ্ঠে নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি রোবট তৈরির পরিকল্পনাও করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কন্টেইনার এবং ডকিং প্রক্রিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পন্ন হবে নমুনা সংগ্রহের কাজ।
পাশাপাশি, ইসরোর বিজ্ঞানীদের কথায়, মহাকাশে ভারতের স্পেস স্টেশনে থাকতে চলেছে পাঁচটি মডিউল। ২০২৮ সালে চালু হবে প্রথম মডিউলটি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মডিউলটির নকশা প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। ইসরোর লক্ষ্য ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানো। সেই লক্ষ্যেই জোর কদমে কাজ চালাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।