বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষনীয় নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিচার প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে এখনও পর্যন্ত থমকে রয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ। যার জেরে কার্যত বেহাল দশা রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি স্কুলগুলির। অন্যদিকে দীর্ঘ ২ বছর ধরে অন্য এক মামলার জেরে থমকে রয়েছে রাজ্যের নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে এবার এই মামলায় পিএসসিকে ক্লিন চিট দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যার ফলে এবার নতুনরাও আসতে পারবেন এই পেশায়। তাই স্বভাবিকভাবেই আদালতের এই সিদ্ধান্তে খুশীর হাওয়া নতুনদের মধ্যে।
নিয়োগ মামলায় বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে ২০২২ সালে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি বলে, অভিযোগ তুলে মামলা করেন এক ওবিসি পরীক্ষার্থী।
বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ, ওই মামলাতেই এদিন জানিয়ে দিলেন সংরক্ষণ নীতিতে ভুল ছিল না। আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগ পরীক্ষা সঠিক ভাবে করেছে পিএসসি। ইতিমধ্যেই এই মর্মে পিএসসিকে ক্লিন চিট দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে এদিন মামলাকারীর আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবার নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোন বাধা রইল না।
আরও পড়ুন: হাতে মাত্র ৩ মাস! কেন্দ্রীয় সরকারকে সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট, কোন মামলায়?
প্রসঙ্গত মোট ২৯ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হলেও গত বছর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এদিন মন্তব্য করেছেন, পিএসসি-এর পদ্ধতি সঠিক থাকায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সেইসাথে জানানো হয়েছে এবার বিচারক নিয়োগেও আর কোনো বাধা থাকছে না।
অন্যদিকে পিএসসি-র আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০২২ থেকে যে নিয়োগ আটকে ছিল, সেটা এবার শুরু হওয়ায় তরুণরাও এই পেশায় আসতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, সংরক্ষণের একটি নীতি সঠিক ভাবে ব্যবহার করেনি পিএসসি। কিন্তু এদিন বিচারপতি জানান, মামলাকারীর বক্তব্য সারবত্তাহীন। বিগত ২ বছর ধরে এই মামলার জেরে নিম্ন আদালতে কোনও নিয়োগ হচ্ছিল না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ থাকায় এতদিন কোনো নতুন বিচারক আসতে পারছিলেন না। যার ফলে, কয়েক লক্ষ মামলা ঝুলে ছিল নিম্ন আদালতে। এবার সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।