বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ধর্ম ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ধেয়ে আসছে আক্রমণ, হচ্ছে পাল্টা আক্রমণও। একদিকে হিন্দুত্ববাদ অন্যদিকে মুসলিম ভাবাবেগ। বর্তমান সময়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিদ্রোহী নেতা তথা ভরপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) নিয়ে চর্চার শেষ নেই। দল নয়, তার কাছে তার জাতি আগে। তৃণমূল শোকজ করার পরও এই বার্তাই শোনা গিয়েছে হুমায়ুনের মুখে।
লাইমলাইটে হুমায়ুন- Humayun Kabir
ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। সম্প্রতি তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘২৬এর বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কগুলোকে চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলব।’ এরপরই এর পাল্টা আসরে নামেন হুমায়ুন।
তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘উনি যদি মারতে আসেন তাহলে আমরা কি রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? মুসলিম বিধায়কদের তিনি অসম্মান করবেন, আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলার কথা বলবেন, তাকে আমরা রসগোল্লা খাওয়াবো না। যা জবাব দেওয়ার তাই দেওয়া হবে। উনি আছাড় মারার কথা বলেছেন, আমি ঠুসে দেব।’ হুমায়ুনের এই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয় তৃণমূল।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করে, তৃণমূলের পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তার কাছে জবাব চাওয়া হয়। সেখানেই হুমায়ুন জানান তার কাছে ধর্ম সবার আগে। হুমায়ুনের শোকজের জবাবে দল সন্তুষ্ট নয় বলেই জানা গিয়েছে। তবে বিরোধীদের পাওটা প্রশ্ন, বিধানসভার আগে মুসলিম ভোট এককাট্টা করতেই কি হুমায়ুন কবীরকে দিয়ে এগুলো বলাচ্ছে তৃণমূল?
যদিও হুমায়ুনের দাবি, তার নাকি দলের মধ্যেই শত্রুর অভাব নেই। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে আমার প্রচুর শত্রু। আমার শত্রু তো BJP, কংগ্রেস, সিপিএম হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকের দিনে কংগ্রেস,CPM, বিজেপি-তে আমার যা শত্রু আছে তার চেয়ে বেশি শত্রু আছে আমার দল তৃণমূলেই।’
আরও পড়ুন:
তৃণমূল বিধায়কের প্রশ্ন, তিনি ঠুসে দেওয়ার কথা বলেছেন ঠিকই কিন্তু এমন অনেক কথা বলেও কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ ৬ মাসে দুই বার শো-কজ করা হয়েছে তাকে। যদিও হুমায়ুনের কাণ্ডে অন্য সমীকরণ দেখছেন বিরোধীদের একাংশ। তাদের মতে, রাজনীতিতে যা দেখানো হয় তার ভিতরে চলে অন্য খেলা।