বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে বালোচ বিদ্রোহীদের ট্রেন অপহরণের ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে ভারত (India-Pakistan) ও চিনের (China)। জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনার পর বালোচ বিদ্রোহী ও পাকসেনার একাধিক সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা শতাধিক। পাকিস্তানের মাটিতে বালোচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) বাড়বাড়ন্ত মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাক প্রশাসনের কাছে।
ভারত (India-Pakistan) কী চিন্তিত পাকিস্তানকে নিয়ে?
এই আবহেই অশান্ত পাকিস্তানে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিল চিন। পাকিস্তানের মাটিতে চিনা সেনা মোতায়েন শুধুই কি ‘বন্ধু’র দুর্দিনে পাশে থাকার চেষ্টা, নাকি এর নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে চিনের ব্যক্তিগত স্বার্থ? গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখে চলেছে নয়া দিল্লি। পাক প্রশাসনের পাশাপাশি সে দেশে থাকা চিনা আধিকারিকরাও রয়েছেন বালোচ বিদ্রোহীদের নিশানায়।
আরোও পড়ুন : আরও সহজ হবে পরিষেবা! গ্রাহকদের জন্য বড় পদক্ষেপ RBI-র, ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া হল কড়া নির্দেশ
চিনের প্রস্তাবিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের গদর বন্দর থেকে চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ পর্যন্ত ৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর নির্মাণ করেছে বেজিং। বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা প্রথম থেকেই এই করিডর নির্মাণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
আরোও পড়ুন : ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ তৃণমূলেরই দেওয়া পোস্টারে ঢাকা পড়ল মমতার মুখ! ছাব্বিশের ভোটের আগে নতুন ‘গেম’?
এমনকি ভারতের তরফেও প্রবল আপত্তি রয়েছে এই করিডর নিয়ে। খনিজ সমৃদ্ধ এই অঞ্চলে লুট চালাতে এই করিডর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করছে বালোচ বিদ্রোহীরা। পাকিস্তানের এই কর্মকাণ্ডে চিন যে মদত জুগিয়ে চলেছে তাও প্রমাণিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই পাকিস্তানে থাকা একাধিক চিনা আধিকারিক এখন রয়েছেন বালোচ বিদ্রোহীদের হিটলিস্টে।
গত কয়েক বছরে একাধিক হামলায় পাকিস্তানে নিহতও হয়েছে চিনের বহু ইঞ্জিনিয়ার। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খনিজ সমৃদ্ধ বালোচিস্তান কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইবে না চিন। বালোচ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাক সেনা দাঁড়াতে না পারলে আখেরে বিপদ বাড়বে চিনেরই। ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হবে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাক মাটিতে তাই নিজেদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে পাকিস্তানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। যদিও এই পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ ভারতের (India-Pakistan)। বালোচ বিদ্রোহ ঠেকানোর অছিলায় করাচি ও গদর বন্দরে ঘাঁটি গেড়ে বসবে চিনা ফৌজ। লাল ফৌজের সাথে যুক্ত হয়ে ইসলামাবাদ যদি ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কষে তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই গোটা ঘটনা প্রবাহের দিকে কড়া নজর রাখছে দিল্লি।