বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই সময়ে তিনি পাকিস্তানের (India-Pakistan) বিষয়েও নিজের প্রতিক্রিয়া জানান। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সামনে এনে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি এখন পাকিস্তানে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) সম্পর্ক:
এবার এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরাত জাভিদ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান কীভাবে ভারতের (India-Pakistan) বিরুদ্ধে জনসমক্ষে তিক্ততা দেখাচ্ছে কিন্তু নীরবে ভারত থেকে চিনি কিনছে। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর পডকাস্ট নিয়ে পাবলিক নিউজের অ্যাঙ্কর আদনান হায়দার নুসরাত জাভিদকে প্রশ্ন করেছিলেন। এই বিষয়ে জাভিদ বলেন, “আমি নরেন্দ্র মোদীর কথা শুনেছি এবং তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়াও দেখেছি। আমরা আবারও কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। যা আমরা বিগত বছরগুলিতে বলে আসছি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। আমাদের সরকার ক্রমাগত বলে আসছে যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করব না। তবে, আসল সত্য হল ভারত থেকে চিনি ক্রয় চলছে।”
পাক সরকার পার্লামেন্টে জবাব দিয়েছে: নুসরাত বলেন, “সরকার বারবার আমাদের বলছে যে ভারত যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে রাজি না হয়, আমরা এর সঙ্গে ব্যবসা করব না। কিন্তু, এখনও আমরা ভারত (India-Pakistan) থেকে প্রচুর পরিমাণে চিনি আমদানি করেছি। কেউ বাতাসে এই কথা বলেনি। বরং, একজন এমএনএ (সাংসদ)-র প্রশ্নের জবাবে শেহবাজ শরীফের সরকার জাতীয় পরিষদে (সংসদ) এটি বলেছে।”
আরও পড়ুন: ফের সঙ্কটে “কাঙাল” পাকিস্তান! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন পড়শি দেশ
নুসরাতের মতে, “জাতীয় পরিষদে বলা হয়েছিল যে পাকিস্তান ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অন্যান্য দেশ থেকে ৩,১৪০ মেট্রিক টন চিনি কিনেছে। যার দাম ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার। পাকিস্তান যেসব দেশ থেকে চিনি কিনেছে তার মধ্যে মালয়েশিয়া, জার্মানি, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে ভারতের নামও রয়েছে। এই তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে ভারত। ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে পাকিস্তান (India-Pakistan)। পাশাপশি, পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ৪৪৪ মেট্রিক টন চিনি কিনেছে। এটিও আমাদের ভারতের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা উচিত।”
আরও পড়ুন: এবার এই দেশকে সাহায্য করতে গিয়ে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন চিন! ভারতের কাছ থেকে চাইছে সাহায্য
সরকারের উচিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার রাখা: জাভিদ বলেন, “সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে কেন? ভারত থেকে চিনি পেলে পেঁয়াজ, টমেটোও পাবেন। ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে খুলুন। কেন এই বিষয় সামনে আনা হচ্ছে যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেবল এটিই বিশ্বাস করব। সব উত্তেজনার মধ্যেও যদি চিন ও ভারত ব্যবসা করে, তাহলে পাকিস্তান ও ভারত (India-Pakistan) কেন পারবে না?”