বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা মেট্রোপলিটন এরিয়া ও রাজ্যের (West Bengal) বাকি অংশে এবার কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দিল রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর। কিন্তু হঠাৎ কেন এই পদক্ষেপ? আসলে বিগত কয়েক দিন ধরেই কোন সংস্থার কাজের পরিধি কতটা? তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল। পানীয় জল সরবরাহ থেকে শুরু করে নিকাশি প্রকল্পসহ পরিকাঠামোগত সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই অসুবিধা তৈরি হয়েছিল। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এবার কলকাতা মেট্রোপলিটন এরিয়া (কেএমএ) ও রাজ্যের বাকি অংশে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গুলি রূপায়ণের দায়িত্ব দুই সংস্থার মধ্যে নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ করে দিয়েছে রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তর।
দায়িত্ব ভাগ করল রাজ্যের (West Bengal) নগরোন্নয়ন দফতর
সূত্রের খবর, কেএমএ-র অধীন এবং কেএমএ-র অধীনে নেই, এমন এলাকায় পুরসভা, পুরনিগমগুলির প্রয়োজনের ভিত্তিতে অথবা বিশেষে ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব থাকে একটি সংস্থা এবং একটি ডিরেক্টরেটের ওপর। জানা যাচ্ছে, রাজ্য (West Bengal) নগরোন্নয়ন ও পুর দফতরের অধীনস্থ এই সংস্থাটি হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) আর ডিরেক্টরেটটি হল মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট (এমইডি)।
পুর এলাকার অধীনস্থ সমস্ত প্রকল্পগুলিতে এই এমইডি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অম্রুত, গ্রিন সিটি মিশন, এনইউএলএম-সহ বিভিন্ন প্রকল্পেও সাহায্য করে এমইডি। প্রশাসন সূত্রের খবর,বেশ কিছুদিন ধরেই পুরসভাগুলির প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে কেএমডিএ এবং এমইডি-এর মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই এই বিভ্রান্তি দূর করতে দফতরের তরফেই এবার নির্দিষ্ট ভাবে এই দুই সংস্থার মধ্যে কাজের পরিধি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ! রামনবমীতে ১ কোটি হিন্দুকে আহ্বান শুভেন্দুর
রিপোর্ট বলছে মোট ৪০টি পুর এলাকার প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ-কে। যার মধ্যে অন্যতম মধ্যে কলকাতা পুর এলাকা, হুগলি, হাওড়া জেলার অধীনস্থ পুরসভা, এছাড়াও রয়েছে নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরসভাও। অন্যদিকে, রাজ্যের মোট ৮৮টি পুর এলাকার প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমইডি-কে। এই সমস্ত পুর এলাকার মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, এবং জলপাইগুড়ি। এছাড়াও রয়েছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান।
রাজ্য (West Bengal) নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এক কর্তা বলেছেন, পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প, নিকাশি প্রকল্প, ফিক্যাল স্লাজ পরিশোধন প্লান্ট-সহ পরিকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্প কারা রূপায়িত করবে, তা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন সেই ধোঁয়াশা কাটাতেই এবার একেবারে তালিকা করে কোন সংস্থা কোন এলাকায় কাজ করবে, তা একেবারে নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।