বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘বাঘ’ নামে পরিচিত তিনি। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দাপটের কথা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। বর্তমানে অবশ্য জেলবন্দি এই বহিষ্কৃত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল মারাত্মক অভিযোগ। সন্দেশখালির সরবেড়িয়া অঞ্চলের মণ্ডল পরিবারের দাবি, জেলে বসেই তাঁদের হুমকি ফোন করেছেন শাহজাহান। ঘরবাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
জেলে বসেই হুমকি ফোন করছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)?
সন্দেশখালির পুরাতন সরবেড়িয়া অঞ্চল নিবাসী মণ্ডল পরিবারের তরফ থেকে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। সরবেড়িয়া মোড়ে যে ‘শেখ শাহজাহান মার্কেট’ রয়েছে, সেটি এই পরিবারের জমির ওপরেই বানানো হয়েছে বলে দাবি। ইতিমধ্যেই নিজেদের জমি ফেরতের দাবিতে সিবিআই ও ইডির কাছে অভিযোগ করেছে ওই পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সূত্রে শাহজাহানের নামে নামাঙ্কিত ওই বাজারে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবার সেই সূত্রেই শাহজাহান ফোন করে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
মণ্ডল পরিবারের দাবি, দিন দুয়েক আগে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ‘অনুগামী’ হিসেবে পরিচিত মফিজুল মোল্লা তাঁদের ফোন করেছিলেন। পরিবারের কর্তা রবিন মণ্ডল সেই ফোন ধরেন। অভিযোগ, শাহজাহানকে নিয়ে কনফারেন্স কল করেছিলেন মফিজুল। ফোন ধরার পরেই নিজের পরিচয় দিয়ে হুমকি দেন সন্দেশখালির এই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুনঃ ইন্টারভিউয়ের টোপ দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার! নাম-পরিচয় ফাঁস হতেই তোলপাড়
রবিন বলেন, ‘মফিজুল মোল্লা শাহজাহানের অনুগামী। ও শাহজাহানের মাছের আড়তে কাজ করতো। মফিজুল আচমকাই বলে, ‘ভাই ফোন করেছে, কথা বল’। আমি তখন ফোন ধরে জিজ্ঞেস করি, ‘কে বলছেন?’ ফোনের উল্টো দিক থেকে উত্তর আসে, ‘আমি শেখ শাহজাহান বলছি’। এরপর বলে, ‘খুব বাড় বেড়েছিস। মার্কেট নিয়ে তোরা অতি বাড়াবাড়ি করছিস। তোদের বাড়িঘর ভাঙচুর করব। বোমাবাজি করে দেব। বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করে দেব’।
এই টেলিফোনিক কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। তবে ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ ঘটনা বিশদে ইডিকে (ED) জানিয়েছে মণ্ডল পরিবার। সন্দেশখালির সড়বেড়িয়া নিবাসী এই পরিবারের প্রবীণ সদস্য শিখা মণ্ডল বলেন, ‘ফোনে হুমকি দেওয়ার পর আমরা আতঙ্কে রয়েছি। বাড়ির গেট তালাবন্ধ করে বসে রয়েছি। প্রতিবেশীদের দিয়ে বাজারদোকান করাচ্ছি। আমরা এর সুরাহা চাই’।
অন্যদিকে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) যে অনুগামী রবিনকে ফোন করেছিলেন বলে অভিযোগ, সেই মফিজুল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। ‘আমার সঙ্গে কারোর কথা হয়নি’, দাবি করেছেন মফিজুল।