বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। একের পর এক পরাক্রমশীল যুদ্ধাস্ত্র, জেট বিমান, ড্রোন নয়া পালক যুক্ত করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুকুটে। এবার ভারতের পদাতিক বাহিনীকে (Indian Army) যুদ্ধের ময়দানে সুরক্ষিত করতে প্রতিটি সেনা জওয়ানের মাথার উপর ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) ভরসা যোগাচ্ছে ‘ঈগল ড্রোন’
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘ঈগল ড্রোন’ ঈগলের মতোই নজর রাখবে শত্রু পক্ষের উপর। এমনকি সময়বিশেষে উড়ে গিয়ে হামলাও চালাবে ভারতের (India) এই বিশেষ ড্রোন (Drone)। মূলত শত্রু পক্ষের সাথে ‘ইনফ্যান্ট্রি লেভেল কমব্যাট’ বা মাটিতে সম্মুখ সমরকালে এই ড্রোন কাজ করবে কিলার হান্টার-এর মতো।
আরও পড়ুন : বেকায়দায় সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শাহজাহান! এই মামলায় রাজ্যের জবাব চাইল হাইকোর্ট
‘ভারত ড্রোন মন্থন ২.০’-এ আর্মি ডিজাউন ব্যুরো (ADB)-র এডিজি মেজর জেনারেল সি এস মান সম্প্রতি সেনা পিছু একটি করে ড্রোন দেওয়ার পক্ষে যুক্তিযুক্ত সওয়াল করেন। এডিজি মেজর জেনারেলের পর্যবেক্ষণ, আগের থেকে বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্র অনেকটাই আধুনিক। আগাম নজরদারি ছাড়া শুধু অস্ত্র হাতে শত্রুর দিকে এগিয়ে যাওয়া মোটেই সুরক্ষিত নয়। তাই প্রয়োজন ঈগল ড্রোন।
আরও পড়ুন : টাটা গ্রুপের ৯১,০০০ কোটি টাকার চমক! এই শহরেই তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি
সি এস মানের কথায়, শুরুতেই এই ড্রোন উড়ে যাবে শত্রু পক্ষকে নিশানা করে। হামলার আগাম আঁচ পেয়ে সেনাকে সতর্ক করার পাশাপশি নির্দেশ পেলে শত্রুকে ধ্বংসও করে ফেলতে পারবে এই ঈগল ড্রোন। হালকা ও বহনযোগ্য এই ড্রোন সেনারা (Indian Army) তাদের কাঁধের ব্যাকপ্যাকেই বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, নীতি নির্ধারক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ভারত ড্রোন মন্থন ২.০’।
এই অনুষ্ঠানেই মেজর জেনারেল মান বলেন যে, ‘ড্রোন এখন আর শুধুই সেনার হাতিয়ার নয়, বরং সেনারই একটা অংশ।’ তাঁর কথায়, সর্বাধুনিক ড্রোন তৈরির জন্য এগিয়ে আসতে হবে দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি আরও উন্নত প্রযুক্তি ও ঘাতক ড্রোন নির্মাণের গবেষণার কাজে দেশের শিল্পপতিদের অর্থ সাহায্যেরও আহ্বান জানান মেজর জেনারেল।