বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় জানিয়েছেন রাজ্যের ড্রপ আউট শূন্য। প্রায় একই সময়ে বিধানসভার শিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে ধরা পড়েছে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের একেবারে উল্টা ছবি। জানা যাচ্ছে, শিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি তাদের রিপোর্টে সুপারিশ করেছে ড্রপ আউট সংখ্যা কমাতে শিক্ষা দপ্তর ব্যবস্থা নিক। তাই মন্ত্রী (Bratya Basu) এবং বিভাগীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি উভয়পক্ষের এই দ্বিমত প্রকাশে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্কুল স্তরে ড্রপ আউটের বাস্তব চিত্রটা আসলে ঠিক কেমন?
পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) স্কুল স্তরে ড্রপ আউট নিয়ে দ্বিমত!
প্রসঙ্গত,বিধানসভার চলতি অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সমীর জানা এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি জানতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘ড্রপ-আউট’ কি নেই? এই প্রশ্নের উত্তরে লিখিত জবাব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছিলেন রাজ্যে ওই স্তরে ড্রপআউট নেই।
স্কুলছুট কীভাবে বন্ধ করা গিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী সবিস্তারে জানিয়েছেন একটি শক্তিশালী ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী সম্পর্কিত তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করে তাদের উপস্থিতির উপরে নজরদারি করা এবং অনুপস্থিতদের স্কুলমুখী করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসাথে বলা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রাজ্য (West Bengal) সরকার যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে, তা এই প্রক্রিয়ার সহায়ক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যায় শীর্ষে কলকাতা মেট্রো! অবাক করা পরিসংখ্যান দিলেন রেলমন্ত্রী
বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিও প্রায় একইসময়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে স্কুলছুট রুখতে শিক্ষা দফতরকে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত সরকারি প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে হামেশাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় রাজ্য (West Bengal) সরকারকে। কিন্তু এবার শিক্ষা দফতরের কমিটির পর্যবেক্ষণে যে ছবি ধরা পড়েছে,তার সাথে কোনো মিল পাওয়া গেল না শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের।
কমিটির রিপোর্টে কেন্দ্রীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘ম্যাচিং গ্রান্ট সমানুপাতিক হারে ও সময় মতো দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। একইসাথে বরাদ্দ করা অর্থের সঠিক ব্যবহার করার পরামর্শও দিয়েছে তারা। এছাড়া ওই রিপোর্টে নির্দিষ্ট ছাত্র-শিক্ষক আনুপাতিক হার রক্ষা করার কথা বলেছে কমিটি।