বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য মানুষ কি না করে! কঠিন অধ্যাবসায়, কঠোর পরিশ্রম হল সর্বাগ্রে প্রয়োজন সাফল্যের (Success Story) এই যাত্রায়। তবে এই যাত্রাপথ সহজ নয়। ক্রমাগত ব্যর্থতা এবং প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হয় কিছু মানুষকে। তারপরেই অনেক মানুষ সহজেই সাফল্য (Success Story) অর্জন করে।
আইএএস (IAS) অফিসার রুক্মিণী রিয়ারের সাফল্য (Success Story)
আজ আমরা এমনই একজন তরুণীর সাফল্যের কথা জানাব, যিনি ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। সেই মেয়েই UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাও আবার প্রথম প্রচেষ্টায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর, অনেকেই ধরে নেয় যে জীবনে কখনও সাফল্য আর আসবে না। শুরু হয় পারিপার্শ্বিক মানুষের কটূক্তি।
আরও পড়ুন : হু হু করে বাড়ছে EV-র চাহিদা! ২০২৪ সালেই বিক্রি হল লক্ষ লক্ষ গাড়ি….চমকে দেবে পরিসংখ্যান
স্বাভাবিক ভাবেই সেই ব্যক্তি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করেন। মনে রাখা উচিত, স্কুল পরীক্ষায় ফেল করলে জীবনযুদ্ধেও সে ফেল করে এমন কোনো কথা নেই। তারই এক উদাহরণ আইএএস (IAS) অফিসার রুক্মিণী রিয়ার। রুক্মিণী রিয়ারের বাবা বলজিন্দর সিং রিয়ার। হোশিয়ারপুরের একজন অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি কালেক্টর তিনি।
আরও পড়ুন : পূর্বাভাসকে সত্যি করে বঙ্গে ধেয়ে এল কালবৈশাখী! জেলায়-জেলায় জারি কমলা সতর্কতা
স্কুল জীবনে রুক্মিণী পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিলেন না। যার কারণেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করেন তিনি। তাতেই মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করেন রুক্মিণী। তবে, হতাশার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে তিনি নিজের লক্ষ্যের আলো খুঁজে পান। আর সেই পথেই হেঁটে, শীঘ্রই পড়াশোনায় কঠোর পরিশ্রম করে এবং ভালোভাবে নিজের স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন।
মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর, রুক্মিণী যশোধা, মহীশূর এবং মুম্বাইয়ের অন্নপূর্ণা মহিলা মণ্ডলের মতো বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) ইন্টার্নশিপ করেন। এনজিওতে থাকাকালীন, তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অবশেষে ২০১১ সালে প্রথম প্রচেষ্টায় UPSC (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবং সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক (AIR) ২ অর্জন করে রুক্মিণী সকলকে চমকে দেন। তাঁর অসাধারণ সাফল্য অর্জন দেখে অবাক হন তাঁকে নিয়ে এক সময় সমালোচনা করা ব্যক্তিরা। তবে, কোনও কোচিং ক্লাসের সাহায্য ছাড়াই এই উজ্জ্বল সাফল্য (Success Story) অর্জন করেছেন রুক্মিণী।