বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পরবর্তীকালে ওঠে বাংলাদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি।
তোলপাড় শুরু বাংলাদেশে (Bangladesh)
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। ইউনূসের (Mohammad Yunus) এহেন বক্তব্যের পরই তাঁর বিরুদ্ধে আসরে নেমে পড়েছেন একদা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সারথী তথা বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি।
আরও পড়ুন : তৃণমূল কর্মীদের শরীরে রয়েছে চতুর্থ রক্তকণিকা! এ কি বললেন দেবাংশু, শোরগোল শুরু
স্পষ্ট ভাষায় জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে (Awami League) নিষিদ্ধ করার পথে ইউনূস অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালে, তাঁর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ হবে! প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের নিন্দা করে এনসিপি বলেছে, দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যেকোনও চেষ্টাই প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন : ভারতের এই জিনিসের জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল বাংলাদেশ! অবশেষে হল পাঠানো, জানেন কি?
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি-র মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি জানিয়েছেন, যে বা যারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে যেকোনও মূল্যে। এদিন আওয়ামী লীগ নিয়ে ইউনূসের বক্তব্যের নিন্দাও করেন নাসিরউদ্দিন। এমনকি বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ করতে ও তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারিও দেন এনসিপি নেতা।
এনসিপি’র তরফে আওয়ামী লীগকে ‘মাফিয়াগোষ্ঠী’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে আসা এনসিপি দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে চায়। সেই বিচারের প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়েই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।”
এনসিপি আহ্বায়কের আরও বক্তব্য, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার যেকোনো প্রচেষ্টা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল। দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন এবং বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ থাকা উচিত নয়। আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠন। দলটি ভোটের মাধ্যমে পরাজিত হয়নি; বরং সাংগঠনিকভাবে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। জনগণের নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে। ফলে বর্তমানে দলটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে অবস্থান করছে।”