বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিগত চার মাস ধরে কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। বিগত মাসগুলিতে একাধিকবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের মামলা আদালতে উঠলেও প্রত্যেকবার খারিজ হয়ে যায় জামিনের আবেদন। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলি বারংবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করেছে প্রকাশ্যে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) চিন্ময়কৃষ্ণের (Chinmoy Krishna Das) জামিন
এই আবহে চিন্ময়কৃষ্ণের (Chinmoy Krishna Das) আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য দিলেন বড় ইঙ্গিত। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর আশা, বাংলাদেশ হাইকোর্টে আগামী ৩১ মার্চ হতে চলেছে চিন্ময়কৃষ্ণর জামিনের শুনানি। বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি মহম্মদ আলী রেজার বেঞ্চ হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের মামলার শুনানি করবে। অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের আশা এবারের শুনানিতে জামিন আবেদন মঞ্জুর হতে পারে চিন্ময়কৃষ্ণের।
আরও পড়ুন : তুমুল ঝড়-বৃষ্টির পর কেমন থাকবে আগামীকালের আবহাওয়া? রইল মেগা আপডেট
গত বছর ২৫ নভেম্বর জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার হন বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। গ্রেফতার হওয়ার পরের দিন চট্টগ্রাম আদালতে জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন বিচারক। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বাংলাদেশ এমনকি ভারতেও। উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে। আলিফ নামের এক আইনজীবীকে খুন করে হত্যার অভিযোগও ওঠে সেইসময়ে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে এবার হবে যুদ্ধ? বিরাট হুমকি পেলেন ইউনূস, ব্যাপারটা কী?
হিন্দু সন্ন্যাসী (Hindu Monk) চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের বিরোধিতায় আসরে নেমে পড়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলি। গত ৩ ডিসেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানি থাকলেও, কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির হুমকির জেরে হিন্দু সন্ন্যাসীর পক্ষে আদালতে হাজির হতে পারেননি কোনও আইনজীবী। পরবর্তীতে গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের একটি আদালতে ওঠে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের মামলা।
তবে সেইবারও আদালত খারিজ করে দেয় চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের (Bail) আবেদন। এরপর নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী। গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের বিষয়ে রুল জারি করা হয় হাইকোর্টের তরফে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশে তৈরি হয় সনাতনী জাগরণ মঞ্চ নামক একটি সংগঠন। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ছিলেন সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র। সংগঠনের দাবি, সংখ্যালঘুদের উপর ঘটে চলা অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে।