‘এই যোগ্যতা আমার আছে?’ নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চর্চায় এই TMC MLA

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বঙ্গে নির্বাচন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। এখন থেকেই রীতিমতো যুযুধান শাসক-বিরোধী উভয় শিবির। এরইমাঝে এবার নিজেই, নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চর্চায় উঠে এলেন এই তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক। কোনো রাখঢাক না রেখে প্রকাশ্যে নিজের বেতন থেকে শুরু করে বিধায়ক হওয়ার সুবাদে কি কি সুযোগ-সুবিধা পান সবটাই ফাঁস করেছেন তিনি। সেই ভিডিও আবার তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। যা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই প্রবীণ বিধায়ক। এই সুযোগে বিজেপি নেতারা তাকে স্পষ্ট বলেছেন, ‘ অযোগ্যতা স্বীকার করছেন যখন পদত্যাগটাও করে ফেলুন।’

নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চর্চায় এই তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত হয় একদিন আগে। চুঁচুড়া-মগরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কমিটির উদ্যোগে আদিসপ্তগ্রামে আয়োজিত ভোটার তালিকা সংক্রান্ত একটি বৈঠক থেকে। ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছিলেন, ‘আমি একটা চাকরি করতাম সেখানে ৪০-৫০ হাজার টাকা হয়তো বেতন পেতাম। কিন্তু আমি বিধায়ক হয়েছি। এক-দেড় লাখ টাকার বেশি বেতন পাই। ৫ লক্ষ টাকা বছরে পাই প্লেনে ঘোরার জন্য। রাজধানী এক্সপ্রেসে দুজন সঙ্গী নিয়ে ঘুরতে পারি ফ্রিতে। মেডিকেল বিল পাই আনলিমিটেড। এই যোগ্যতা আমার আছে? তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আমি এমএলএ হয়েছি।’

নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই থেমে থাকেননি তিনি। এরপর আরও এক ধাপ এগিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত সদস্য,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা বেতন পান। সাধারণ কর্মীরা কিছু পান না। অথচ দেখা যাচ্ছে ভোটার লিস্ট স্ক্রুটিনির ক্ষেত্রে কর্মীরাই ভাল কাজ করছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা ফাঁকিবাজি করছে।’

আরও পড়ুন: তার সিকি ভাগও যদি করতে পারি! রচনাকে দিশা দেখছেন অভিষেক কীভাবে?

জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। যদিও পরে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, দলের মধ্যে যাঁরা ফাঁকি মারে তাঁদের জন্য বলেছি। তাঁর কথায়, ‘ভোটার লিস্ট কীভাবে করতে হবে, দল কি নির্দেশ দিয়েছে সেটাই বলছিলাম কর্মীদের। দু’একজন তো ফাঁকি মারে। কিন্তু তাঁরা যাতে এটা না করে সেই কারণে এটা বলেছি।’

Trinamool Congress

অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পর হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ-এর কটাক্ষ, ‘বিধায়ক নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে তাঁর কোনও যোগ্যতা নেই। দিদির দয়ায় খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন।’ একইসাথে তাঁর খোঁচা,’অযোগ্য যখন তখন পদত্যাগ করে ফেলুন। চুঁচুড়া বিধানসভার মানুষেরও বোঝা উচিত কাদের ভোট দিয়ে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত করেছেন।’

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

X