বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। ভারতীয় (India) গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ ওরফে র-কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ জমা পড়ল আমেরিকায়। মার্কিন ফেডারেল সরকার দ্বারা গঠিত কমিশন এই সুপারিশ করেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন তাদের বার্ষিক রিপোর্টে র-কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। কিন্তু হঠাৎ এমন সুপারিশের কারণ কী?
ভারতীয় (India) ‘র’কে নিষিদ্ধ করার দাবি মার্কিন কমিশনের
রয়টার্স সূত্রে খবর, কমিশনের দাবি, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার চেষ্টায় যোগ রয়েছে র-এর। সেই কারণেই নিষিদ্ধ করার সুপারিশ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (India) নামও ওই রিপোর্টে রয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রশাসনের অধীনস্থ এই কমিশনটি সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখে এই কমিশনটি। আর সেই মতো ধর্মীয় নীতি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারকে পরামর্শ দেওয়াই এই কমিশনের কাজ।
আমেরিকা কি মানবে সুপারিশ: যদিও এই কমিশনের সুপারিশ যে মার্কিন সরকারকে মানতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতাই নেই। ওয়াকিবহাল মহলের সূত্র উল্লেখ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই চিনের দাদাগিরি ঠেকাতে ভারতকে (India) একটি পছন্দসই বিকল্প হিসেবে দেখে থাকে আমেরিকা। তাই এই কমিশনের সুপারিশ মেনে র-কে যে আমেরিকা নিষিদ্ধ করবে এমন সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরো পড়ুন : প্রসেনজিৎ শেয়াল, যিশু গাধা! “মুরগি”র তকমা কাকে দিলেন রচনা?
কেন এই সুপারিশ: উল্লেখ্য, এর আগে আমেরিকা দাবি করেছিল, খলিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিং পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে র-এর এক প্রাক্তন কর্তা বিকাশ যাদবের যোগ পাওয়া গিয়েছে। পন্নুন ছিলেন মার্কিন নাগরিক। তবে নয়াদিল্লির (India) তরফে তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওই হত্যার ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনো যোগ নেই। কিন্তু সে কথায় পাত্তা না দিয়ে প্রাক্তন র কর্তা বিকাশ যাদব এবং র দুইয়ের উপরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য সুপারিশ করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন : সেনা ক্যান্টনমেন্ট গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! উত্তাল বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কী জানালেন সেনাপ্রধান?
রয়টার্স সূত্রে খবর, মার্কিন কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা অবনতি হয়ে সংখ্যালঘু বৈষম্য বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ এর নির্বাচনী প্রচারের সময় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ করেছে বিদেশি তথা নরেন্দ্র মোদী। এর আগেও অবশ্য এই ধরণের রিপোর্টকে উড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও বারবার বলেছেন, তিনি কোনো রকম বৈষম্য করেন না।