বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। হাতে এখনও এক বছর সময় আছে ঠিকই, কিন্তু এখন থেকেই যেন বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। নির্বাচনকে সামনে রেখেই কার্যত যুযুধান রাজ্যের শাসক-বিরোধী শিবির। তবে বাংলা এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও বেশ অনেকটাই নড়বড়ে বিজেপির সংগঠন। এসবের মধ্যেই বাংলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে বঙ্গ রাজনীতিতে আচমকা ফ্রন্টফুটে উঠে এসেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাই আরও একবার দিলীপের কামব্যাক ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। এমন সময় এই বিজেপি নেতার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁর দৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কেমন হওয়া উচিত? জানতে চাওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে কি এই পদে বহাল রাখা হবে? নাকি দায়িত্ব পাবেন নতুন কেউ?
বাংলার হবু রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে কি বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)?
সম্প্রতি এমনই একাধিক প্রশ্ন নিয়ে এই বিজেপি নেতার (Dilip Ghosh) কাছে হাজির হয়েছিল দ্য ওয়াল। এই সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজেপি নেতা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে এমন কাউকে রাজ্য সভাপতি করা দরকার যিনি ‘জঙ্গি আন্দোলন’ করতে পারবেন। তাঁর মতে আন্দোলনই একমাত্র রাস্তা যার মাধ্যমে বাংলায় পালা বদল ঘটতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে তাঁকেই যদি আবার রাজ্য সভাপতি করা হয় তাহলে তিনি কীভাবে দল পরিচালনা করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ সাফ জানান, ‘আমি কী করেছি সবাই জানেন। আমি মনে করি, আন্দোলন ছাড়া রাস্তা নেই।’
দিলীপের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ
বিজেপির হবু রাজ্য সভাপতির কথা প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্যে উঠে এলো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম। দিলীপ ঘোষের কথায়,‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখুন। আন্দোলন করে তিনি সরকার বদলে দিয়েছেন। এত বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও বিরোধী নেত্রীর মতো মাঠে নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।’
সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে কি বললেন দিলীপ ঘোষ?
প্রশ্ন হল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে কি তাহলে বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ? সূত্রের খবর এমনটাই মনে করছেন বিজেপির বহু নেতা-কর্মীরা। সুকান্ত মজুমদার সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছেন দলীয় সংবিধান অনুযায়ী সুকান্তবাবু আরও একবার রাজ্য সভাপতি হতে পারেন। তবে তাঁর প্রতি অনাস্থা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সটান বললেন, ‘একজন রাজ্য সভাপতির পক্ষে একা সব করা সম্ভব নয়। তাছাড়া আমাদের দলে বহু যোগ্য মানুষ আছেন।’
আরও পড়ুন: আবাসের টাকা নিয়ে কী চলছে? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! মাথায় হাত নবান্নের
দিলীপ ঘোষ নিজে রাজ্য সভাপতি হতে চান?
দিলীপ ঘোষ নিজে কি আবার রাজ্য সভাপতি হতে চান? জবাবে তিনি বলেন,’আমাদের পার্টিতে চাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। দল মনে করলে দায়িত্ব দেবে। দায়িত্ব দিলে পালন করব।’ তবে তিনি মনে করেন বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে গেলে মোড় ঘোরানো ভোট চাই। আর তার জন্য জঙ্গি আন্দোলন করতে পারবেন এমন কাওকে রাজ্য সভাপতি করা দরকার।