বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই আঁচ বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতির। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের আগের এই সময়টা যে কোনো দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ইতিহাস সাক্ষী নির্বাচনের আগে প্রত্যেকবার দল বদলের হিড়িক পড়ে যায়। সেইসাথে নিত্য নতুন সমীকরণের সাথেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি খড়্গপুরের একটি রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়ে তুলকালাম বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বাধা পেয়ে ঐদিন তিনি যে ভাষায় মহিলা তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করেছিলেন তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু এই ঘটনার পর ওই বিষয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি খড়্গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা খড়্গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা হয়েছে বিস্তর।
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্যের প্রতিবাদ না করার পর, এই তৃণমূল নেত্রীর ইস্তফা ঘিরে শোরগোল
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতেই জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মামণি মান্ডির নেতৃত্বে একটি মিছিলও করা হয়েছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, সেখানেও পা মেলাননি খড়্গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা খড়্গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ। শুধু তাই নয়, স্থানীয় শাসক দলের নেতা নেত্রীদের অভিযোগ এই ঘটনা নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনও প্রতিবাদ বা সক্রিয়তাও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ! হাইকোর্টের নির্দেশে তোলপাড়
খড়গপুরের ওই ঘটনার পর নানান চর্চার মধ্যেই বৃহস্পতিবার আচমকা খড়গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কল্যাণী ঘোষ। তারপরই পরেই প্রশ্ন উঠছে, ওই প্রতিবাদী মিছিলে যোগ না দেওয়ার জন্য কি ইস্তফা দিতে হলো তাঁকে? অন্যদিকে রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো চেয়ারম্যান এবং মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীর দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করতে পারছিলেন না। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্য নিয়েও তাঁর ভূমিকা ইতিবাচক ছিল না।’
কল্যাণী ঘোষ নিজে জানিয়েছেন এর সঙ্গে মিছিলের কোনও যোগসূত্র নেই। তাঁকে একইসাথে খড়গপুর পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাতে হয়। তাই একসাথে এতদিকে নজর দেওয়ায় খড়গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী পদে দায়িত্ব সামলানোর সময় পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই এই পদের দায়িত্ব যায় কাউকে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। কল্যাণী ঘোষের কথায়, ‘আমি সত্যিই সময় দিতে পারছিলাম না। আর ওই দিন রাতে একটি ইফতার পার্টি আমি ছিলাম। আর সেই কারণে মিছিলে যোগ দিতে পারিনি।’