‘অসহায় লাগছে?’, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে পোস্টার পড়ল শহরে! কে এই মৃত্যুঞ্জয় কর?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে মানুষের কর্মব্যস্ত জীবন। মুখ গুঁজে শুধুই নিরন্তর ছুটে চলেছে একদল যন্ত্র মানব। মাঝে মাঝেই ঘিরে ধরছে প্রচণ্ড হতাশা, অবসাদের জাল। অনেকের তলিয়ে যাওয়ার খবরও ভেসে আসছে প্রায়ই। কেউ কেউ আবার খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চাইছেন কোনো মনোবিদকে। এমনি পরিস্থিতিতে শহর জুড়ে হঠাৎই পোস্টারে পোস্টারে (Viral) ছয়লাপ।

শহর জুড়ে ভাইরাল (Viral) পোস্টার

‘অসহায় লাগছে?’ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে নীচে লেখা, ‘হোয়াটসঅ্যাপ করুন: মৃত্যুঞ্জয় কর’। তার নীচে একটি ফোন নম্বর। এমনি পোস্টার (Viral) পড়েছে হাতিবাগান থেকে থেকে হালতু। পোস্টারের প্রশ্ন খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। পথ চলতি মানুষ তাই থমকে দাঁড়াচ্ছেন পোস্টারের সামনে। প্রশ্ন উঠছে, কে এই মৃত্যুঞ্জয় কর? অনেকে আবার উৎসাহী হয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পরখও করছেন।

What is the real story behind viral poster in the city

ঠিক কী ঘটেছে ঘটনা: ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতেই ফাঁস হয়ে গেল আসল কাহিনি। যাকে বলে, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল কেউটে! আসলে সবটাই যুগের হাওয়া। এই মৃত্যুঞ্জয় কর আসলে আর কেউ নন, খোদ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। কী ভাবছেন, পরমব্রত আবার অভিনয় ছেড়ে মনের ডাক্তারি শুরু করলেন নাকি? না, আসলে সবটাই প্রচারের (Viral) গিমিক।

আরো পড়ুন : বাংলাদেশের আম-কাঁঠালে মুগ্ধ হল চিন! জিনপিংয়ের দেশে কী কী রফতানি করবে ঢাকা?

এমন প্রচারের কারণ কী: এ তো এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেতে চলেছে শীঘ্রই। এই সবই আসলে সেই ছবিরই প্রচার (Viral) কৌশল। ছবিতে পরমব্রতর চরিত্রের নাম মৃত্যুঞ্জয় কর। পোস্টারে দেওয়া নম্বরে মেসেজ করলে আসছে একটি লিঙ্ক, যেখানে লেখা রয়েছে ছবির মুক্তির তারিখ আগামী ১১ ই এপ্রিল। কিন্তু প্রশ্ন আরো একটা থেকেই যাচ্ছে। বর্তমানে যেখানে ‘ডিপ্রেশন’ শব্দটি ক্রমেই ভারী হয়ে চেপে বসছে, সেখানে এহেন প্রচার কতটা গ্রহণযোগ্য?

আরো পড়ুন : ভারতে ফের “নীল তিমি” আতঙ্ক? ১০ টাকার জন্য অবলীলায় হাত কাটল ৪০ জন স্কুল পড়ুয়া

কেউ যদি বাস্তবেই সাহায্যের আশা করে ওই নম্বরে যোগাযোগ করে? তবে কি সে আশাহত হবে? উল্লেখ্য, ওই লিঙ্কে ছবির মুক্তির তারিখের সঙ্গে কিন্তু আরো একটি লিঙ্ক থাকছে। যাদের বাস্তবিকই সাহায্যের প্রয়োজন তারা ওই লিঙ্কে ক্লিক করে সহায়তা পেতে পারেন। তবে পরিচালক সৃজিত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ছবির মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই। এর জন্য ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেমনি সাড়া আসুক না কেন, সবটার উত্তর রয়েছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এর কাছে।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X