বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট (Fake Caste Certificate) ইস্যুতে সরগরম বাংলা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ‘অ্যাকশন’ নিয়ে শুরু করেছে রাজ্য (Government of West Bengal)। ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে দু’জন অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেও আরও বেশ কয়েকজন নজরে রয়েছেন বলে খবর। নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যুতে কড়াকড়ি রাজ্যের (Government of West Bengal)!
বিগত দু’বছর ধরে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দু’জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তদন্তে সামনে এসেছে ব্যারাকপুর ও খড়্গপুরের দু’জন অফিসারের নাম। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। ওই দু’জন আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর।
জানা যাচ্ছে, ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট (Caste Certificate) ব্যবহারের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই সূত্রেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, বিগত দেড় বছরে জাল করার অভিযোগে বাতিল হয়েছে ১৪০০ কাস্ট সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুনঃ তরতরিয়ে এগোচ্ছে ভারত! এবার বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে? মুখ খুললেন মমতা
জানা যাচ্ছে, গত দেড় বছরে ৩৬,০০০ কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। এর মধ্যে থেকে ১৪০০ কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। যে শংসাপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে, এর মধ্যে সবটাই দু’বছর কিংবা তার আগে ইস্যু করা বলে খবর।
দু’বছর আগে অবধি হাতে সই করে কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হতো। কিন্তু এরপর থেকে রাজ্যের (Government of West Bengal) অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তরফ থেকে এই শংসাপত্রে কিউআর কোড ব্যবহার শুরু হয়।
এদিকে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকলে সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের অবস্থান কিংবা পদ দেখা হবে না। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফ থেকে বিষয়টি চূড়ান্ত তদন্তের অধীন আনা হয়েছে বলে খবর।