বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্ধেক বছর অতিক্রম হওয়ার পর জম্মু কাশ্মীরে ১২১ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২১ জন জঙ্গি পাকিস্তানের ছিল। অর্থাৎ মোট মৃত জঙ্গির মধ্যে ৮২ শতাংশ জঙ্গিই কাশ্মীর উপত্যকার ছিল। এগুলোর মধ্যে অধিকতম এনকাউন্টার দক্ষিণ কাশ্মীরে হয়েছে। ৩৬ জন জঙ্গি পুলওয়ামা, ৩৪ জন জঙ্গি শোপিয়ান আর ১৬ জন জঙ্গিকে অনন্তনাগে মারা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে কাশ্মীরের যুবদের জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হওয়ার ঘটনা কমেনি। একটি ইংরেজি সংবাদ পত্র অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নতুন করে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর ঘটনা কমেনি। আর এই ঘটনা বেড়েই চলেছে, এখনো পর্যন্ত ৭৬ জন কাশ্মীরি যুবক সন্ত্রাসবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৯ জন হিজবুল মুজাহিদ্দিন আর ২১ জন জইশ-এ-মোহম্মদ এ যুক্ত হয়েছে।
জঙ্গিতে নাম লেখানয় বেশিরভাগ যুবক দক্ষিণ কাশ্মীরের। নতুন জঙ্গিদের মধ্যে ২০ জন পুলওয়ামা, ১৫ জন শোপিয়ান, ১৩ অনন্তনাগ আর কিছু যুবক কুলগাঁও এর। এরা সবাই জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া এই সন্ত্রাসের পরিসংখ্যান সরকারি কাগজেই প্রমাণ আছে। আর এই কারণেই এটা বলা ভুল হবে যা যে, দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ চরমে আর এখানকার স্থানীয় যুবকেরা জীবনের মূল স্রোত ছেড়ে সন্ত্রাসবাদের রাস্তা বেছে নিচ্ছে। আরেকদিকে আরেকটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর গরমে সীমান্তে হওয়া ক্রস বর্ডার অ্যাকশনে অনুপ্রবেশ হয়নি। এবার সিজ ফায়ারের লঙ্ঘন অধিকতম যায়গায় ছোট হাতিয়ারের মাধ্যমে করা হয়েছে।
জম্মু কাশ্মীরে বিগত ছয় মাসে ১০০ সে অধিক জঙ্গি গতিবিধি পুলওয়ামায় ৩২, শোপিয়ানে ২৩, অনন্তনাগে ১৫ আর শ্রীনগরে ১০ টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জঙ্গি গতিবিধি সেনার উপর ফায়ারিং, গ্রেনেড হামলা, পেট্রোল বোমা হামলা, আইইডি হামলা, হাতিয়ার নিয়ে পালিয়ে যাওয়া আর সেনাকে বন্দি বানানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।
আরেদিকে ২২৮ পাথর ছোড়ার মামলা, ৩৪৬ প্রদর্শন আর বিগত ছয় মাসে ১০ বার কাশ্মীর বন্ধ ডাকা হয়েছে। শুধু মে মাসে লোকসভা ভোটের সময় কাশ্মীর থেকে ১০১ টি পাথর ছোড়ার মামলা সামনে এসেছিল। এবং মে মাসে ১১৪ টি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ মাসে ৭১ জন জওয়ান শহীদ হয়েছে আর ১১৫ জন জওয়ান গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জন শহীদ হয়েছিলেন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায়। ওই একটা ঘটনাতেই সিআরপিএফ এর ৪০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। বিগত ছয় মাসে ১৫ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। আরেকদিকে সেন্ট্রাল আর্ম ফোর্সের ৪৮ এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আট জন জওয়ান শহীদ হয়েছে।