বাংলাহান্ট ডেস্ক : বীরভূমের (Birbhum) আদিবাসীদের জমিতে অবৈধ ভাবে খাদানের ব্যবসা চালানোর অভিযোগ। আদিবাসীদের চাষের জমিতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করায় তাদের চাষের জমি তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেই, উপরন্তু জমি ছাড়াও হতে হচ্ছে অনেক আদিবাসীকে। বিষয়টা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হতে কার্যত হতভম্ব বিচারপতি পার্থসারথি সেন। জেলাশাসককে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এ ধরণের অবৈধ কাজ সম্ভব কীভাবে হতে পারে!
বীরভূমে (Birbhum) আদিবাসীদের জমিতে অবৈধ খাদান ব্যবসার অভিযোগ
বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের তারাচুয়া মৌজায় দীর্ঘদিন ধরে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বিপর্যস্ত স্থানীয় আদিবাসীরা। তাদের চাষের জমিতে বছরের পর বছর ধরে চলছে পাথর উত্তোলন এবং অবৈধ খাদানের ব্যবসা। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। মামলাকারীদের আইনজীবী এদিন বলেন, অনেক সময় জমি মাফিয়ারা জমির মালিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই আদিবাসীদের (Birbhum) থেকে জোর করে কেড়ে নিচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।
বুধবার হয় শুনানি: আইনজীবী আশিষ কুমার চৌধুরী এদিন আরো বলেন, জমির চরিত্র পরিবর্তন না করার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশিকা সম্পূর্ণ অমান্য করে চলছে পাথর উত্তোলন। এতে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ছে আদিবাসীরা (Birbhum)। তাদের অনেক সময় জমিহারাও হতে হচ্ছে। তিনি এও বলেন, পাথর খাদান এবং পাথর উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়। রাজ্য সরকারের অনুমতিও প্রয়োজন হয়। এমনকি এই আইন না মানলে শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে।
আরো পড়ুন : বাংলায় লাগু হবে না ওয়াকফ? “দিদি”-র ওপরে ভরসা রাখার জন্য সংখ্যালঘুদের কাছে আর্জি মমতার
কী বললেন আইনজীবী: কার্যক্ষেত্রে যদিও রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব এবং ভূমি সংস্কার দফতরের কিছু মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেদারে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা (Birbhum)। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে রাজ্য সরকারও। বড়সড় অঙ্কের টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।
আরো পড়ুন : মমতার জন্য “স্বামী” খোঁজার দাবি মার্কন্ডেয় কাটজুর! পালটা প্রাক্তন বিচারপতির কাছেই এল প্রস্তাব
বুধবারের শুনানিতে বিচারপতি পার্থসারথি সেন প্রশ্ন তোলেন, মাইনিং অ্যাক্ট অমান্য করে খাদানের কাজ কীভাবে চালাচ্ছে মাফিয়া, অসাধু ব্যবসায়ীরা? সেই সঙ্গে তিনি জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্ত শুরু করতে হবে এ বিষয়ে। এর জন্য একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে নিয়োগ করতে হবে। রাজ্য সরকারের আড়ালে এমন কোনো অবৈধ চক্র চললে তা বন্ধ করতে হবে।