বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘুরতে যেতে কে না চায়। শুধু যেতে চাইলেই তো হয় না,খরচ আর সময়ের কথা মাথায় রেখে অনেকেই ঘুরতে যেতে চান না। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিত্য ব্যস্ততার জন্য বেশিদিনের ছুটিও পান না অনেকেই। কলকাতার ( Kolkata) খুব কাছাকাছি পাহাড় কিংবা সমুদ্রে কম সময়ে ঘুরতে যাওয়া জন্য রইল কয়েকটি হলি ডে ডেস্টিনেশন তাও আবার অল্প খরচে (budget friendly) ,তাহলে আর দেরী কিসের ? পরিবার বা বন্ধুদের সাথে হাতে ২-৩ দিন সময় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন আপনার নিকটবর্তী এই জায়গাগুলিতে।
কলকাতার খুব কাছে কম খরচে ভ্রমণের ঠিকানা | Kolkata
১.মন্দারমণি- কলকাতা থেকে মন্দারমণির ( Mandarmani ) দুরত্ব মাত্র কয়েকঘন্টা । ১-২ দিনের ছুটিতে বন্ধু কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি দারুণ জায়গা ,উপকূলবর্তী অঞ্চল মনোরম শান্ত পরিবেশে যাওয়ার জন্য় মাথাপিছু ৪ হাজার টাকা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন। লোকাল ট্রেনে দিঘা বা কাঁথি স্টেশনে নেমে শেয়ার গাড়িতে চেপে সহজেই পোঁছে যাবেন । পেয়ে যাবেন কম বাজেটে রিসর্ট {low budget resort), সমুদ্রের ধারে খাবারের দোকান।
২. বিষ্ণুপুর- কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘন্টা দূরেই রয়েছে বিষ্ণুপুর ( Bishnupur)। ইতিহাস, স্থাপত্য যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই জায়গাটি খুব ভালো। এখানে গেলে পোড়ামাটির অনেক জিনিস কিনতে পারবেন। তাছাড়া এখানে খুব সুন্দর মন্দিরও রয়েছে। কম সময়ে নিজের মনের ইচ্ছা পূরণ করতে আপনিও কিন্তু এই জায়গায় যেতে পারেন। এখানের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান টেরাকোটা মন্দির, রাসমঞ্চ ও মিউজিয়াম। জনপ্রতি খরচ প্রায় ৫,০০০ হোটেল খরচ ও আহারাদি সহ (food and accomodation ) ।
৩. মৌসুনি দ্বীপ- কলকাতার খুবই নিকটে অবস্থিত এই অফবিট জায়গাটির নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। কলকাতা থেকে মাত্র ২ ঘন্টা দূরে রয়েছে এই মৌসুনি দ্বীপ (Mousuni Island) । এখানে গেলে সমুদ্র, সৈকতের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন আপনিও। নির্জন প্রাকৃতিক জায়গাটিতে কম খরচে পেয়ে যাবেন আহারাদিসহ সুন্দর হোমস্ট কিংবা টেন্ট হাউস এর সাথে সন্ধ্য়ায় উপভোগ করতে পারেন বনফায়ার ক্য়াম্প। জনপ্রতি খরচ প্রায় ২০০০। শীতের মরশুম এখানে যাওয়ার সেরা সময়
৪. শান্তিনিকেতন- বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন ( Shantiniketan) শিল্প,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পীঠস্থান। এখানকার মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পর্যটক ও দর্শনার্থীদের মোহিত করে। সবুজে ঘেরা প্রকৃতিক পরিবেশ,বিস্তীর্ণ মাঠ শান্ত পরিবেশ এক আলাদাই প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয়। ট্রেনে বোলপুর স্টেশনে নেমে অটো করে সহজেই পোঁছে যাবেন শান্তিনিকেতন। দর্শনীয় স্থান বিশ্বভারতী, রবীন্দ্র ভবন , কোপাই নদী। ভ্রমণের জন্য মাথাপিছু খরচ ২০০০।
৫.পুরুলিয়া- লাল পাহাড়ে ঘেরা পুরুলিয়া (Purulia) হাতে ১-২ দিনের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি দারুণ জায়গা। বর্ষায় সবুজে ঘেরা পাহাড় ও বসন্তে শিমুল-পলাশ ফুলে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পর্যটকদের মোহিত করে। দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অযোধ্যা পাহাড়ের চূড়া, ময়ূর পাহাড়, বামনি জলপ্রপাত, তুরগা জলপ্রপাত, তুরগা বাঁধ, মাঠা বন, পাখি পাহাড়, চরিদা গ্রাম, লোহোরিয়া শিব মন্দির, পিপিএসপি লোয়ার ড্যাম, পিপিএসপি আপার ড্যাম, দেউলঘাটা মন্দির, মুরগাতা মন্দির, দেউলঘাটা মন্দির উল্ল্যেখযোগ্য। আহারাদিসহ মাথাপিছু খরচ ৩০০০। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে সহজেই পুরুলিয়া চলে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘CPM এতই বজ্জাত, দু’জন মারা গেছে সেখানেও পার্টির রং, হিন্দু মারা গেছে সেটা বলছে না’, বিস্ফোরক নেতা
৬. চাঁদিপুর- ওড়িশার বালেশ্বর স্টেশন থেকে লোকাল গাড়িতে চেপে সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল চাঁদিপুর (Chandipur sea beach) স্বল্পদিনের ভ্রমণের জন্য একটি দারুন জায়গা। পরিবার বা বন্ধুদের সাথে ১-২ দিনের ছুটি উপভোগ করতে চাঁদিপুর একটি মনোরম জায়গা। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে সহজে থাকা ও খাওয়ার ব্য়বস্থা রয়েছে। জনপ্রতি খরচ ৩০০০ টাকা।