বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার থেকে শিরোনামে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। সেদিন দুপুরের পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান সহ একাধিক এলাকা। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতো সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পুলিশও। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ঘটনায় উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হল।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি কবে?
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বাংলার নানান প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। এই সূত্রেই তেতে ওঠে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় একাধিক এলাকা। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও অনেকে সেই দাবি মানতে রাজি নন।
প্রাণ বাঁচাতে ভিটে-মাটি ছেড়ে অশান্ত মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়েছেন বহু মানুষ। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পাশের জেলায়, কেউ আবার চলে গিয়েছেন পড়শি রাজ্যে। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই ফের ঘরছাড়ারা ফিরতে শুরু করেছেন। যদিও অনেকেই এখনও ফিরে আসেননি। এমতাবস্থায় এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা দায়ের করা হল।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন! ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ! গোয়েন্দাদের জালে কারা?
জানা যাচ্ছে, উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করে তদন্ত কমিটি তৈরি করার আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই ঘরছাড়াদের ফিরিয়ে তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিও জানানো হয়েছে। আগামী বুধবার মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ কাণ্ডের আঁচ ইতিমধ্যেই রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের করেছেন শশাঙ্কশেখর ঝা নামের একজন আইনজীবী। সিট গঠন করে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, আমজনতার প্রাণ বাঁচাতে কেবলমাত্র উচ্চ আদালত নয়, সুপ্রিম কোর্টেরও নজর দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক স্তর থেকে শুরু করে পাড়ায়-পাড়ায় একাধিক শান্তি বৈঠক হয়েছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান খুলেছে। অল্প অল্প কেনাবেচাও চলছে। এই আবহে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল একটি মামলা। সেই মামলার শুনানিতে কী হয় এবার সেটাই দেখার।