বাংলাহান্ট ডেস্ক : লাগাতার অশান্তিতে গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। পুলিশ প্রশাসনের মতে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে জেলায়। আর তারপরেই সামনে এসেছে অত্যাচার, লুটপাটের মর্মান্তিক বাস্তব চিত্র। গ্রাম জুড়ে চলেছে লুঠপাট। চাল ডাল থেকে গবাদি পশু, সোনা দানা ছাড় পায়নি কিছুই। এমনকি গ্রামের (Murshidabad) কিছু কিছু বাড়ি পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
যথেচ্ছ অত্যাচারের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দুই গ্রামে
মঙ্গলবার ছিল বাংলা নববর্ষ আরম্ভ। কিন্তু পালাপার্বণের দিনে কার্যত শ্মশানের নীরবতা বিরাজ করছে বেতবোনা এবং জাফরাবাদ গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দুই গ্রামে হামলা শুরু হওয়ার অভিযোগ। রাত ভর চলার পর থামে শনিবার। ততক্ষণে কুটিবাটি সব হারিয়ে পথে বসার জোগাড় স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাতভর অবাধে লুঠপাট চালানোর পর কার্যত ধ্বংসের কিনারায় এসে পৌঁছেছে গ্রাম (Murshidabad) দুটি।
রাতভর চলে লুঠপাট: সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অত্যচারের ঘটনা শুনিয়ে অভিযোগ এনেছেন বেতবোনা এবং জাফরাবাদের (Murshidabad) গ্রামবাসীরা। একজন ভুক্তভুগী জানান, চাল ডাল পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। থালা বাসন্ত পর্যন্ত জবরদস্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বোমা পিস্তল দেখিয়ে মারফর করে লুঠ করে নেওয়া হয়েছে সবকিছু। অভিযোগ এনে তারা জানিয়েছেন, গোটা গ্রামে (Murshidabad) অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘জাট’ সানির এন্ট্রিতেই আউট ‘সিকন্দর’! কত আয় হল সলমনের ছবির?
কী জানান গ্রামবাসীরা: আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা জানান, গবাদি পশুও ছাড় পায়নি। চাল ডাল, সোনাদানা সব তো কেড়ে নেওয়া হয়েছেই, খাসি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সমস্ত হারিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে কার্যত সর্বহারা দুই গ্রামের (Murshidabad) বাসিন্দারা। নেই খাবার, মাথার উপরে ছাদটুকুও নেই।
আরো পড়ুন : ওয়াকফ অশান্তিতে মৃত ৩, গ্রেফতার ২২১, ‘হটস্পট’ মুর্শিদাবাদ নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
প্রসঙ্গত, ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সাজুর মোড়, ধুলিয়ানে বিক্ষোভ মিছিল, সবটাই ছিল পরিকল্পিত ছক। সাজুর মোড় আটকে রেখে হয় ধুলিয়ানে হামলা। জাতীয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয় যাতে পুলিশ পৌঁছাতে না পারে। সেই সুযোগে চলে দেদারে লুট। সাজুর মোড়, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান নিয়েই যখন পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত, তখনই সর্বস্ব লুটে নিয়ে নিঃস্ব করে দেওয়া হয় গ্রামের বাসিন্দাদের।